বাড়ছে জাল নোট, নোটবন্দি করে কী লাভ হোল, উঠছে প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত ৮টার সময় টেলিভিশন সম্প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নাটকীয়ভাবে বলেছিলেন, ‘যখন দেশে কোনও সঙ্কট আসে, তখনই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’ এরপরই ঘোষণা করেন, সেদিন রাত ১২টার পর ৫০০ টাকা এবং হাজার টাকার নোট বাতিল করে দেওয়া হল। কেন? প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কালো টাকা ‘ধ্বংস’ করার এটাই একমাত্র উপায়।
কিন্তু তার পরেও জাল টাকার রমরমা ঠেকাতে মোদী সরকারের ব্যর্থতার চরম নমুনা পাওয়া গিয়েছে লোকসভায় সরকারেরই দেওয়া রিপোর্টে। একটি প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রক সংসদে জানিয়েছে, গত তিন বছরে ভারতে উদ্ধার হওয়া জাল টাকার পরিমাণ বেড়েছে তিনগুণ। আর এই রিপোর্ট খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। সবথেকে বিস্ময়কর হল, ৫০০ টাকার নোট তো জাল হচ্ছেই, ২ হাজার টাকার নোটও রয়েছে নকলের তালিকায়।
অর্থমন্ত্রকের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২১ সালে ৫০০ টাকার জাল নোট ধরা পড়েছিল ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৩০টি। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা হয়েছে ৯ লক্ষাধিক। ২০২৪ সালে সাড়ে ৮ লক্ষেরও বেশি। ২ হাজার টাকার নোট বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ২০২১ সালে ৮৭ হাজার ৯৮০টি। আর ২০২৪ সালে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৬০ হাজার।
নোটবন্দির ৫০ দিন দূরঅস্ত, বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে, মধ্যবিত্তের ভাঙা কোমর জোড়া লাগেনি। উল্টে বেড়েছে জাল নোট। এবং কালো টাকা। প্রশ্ন হল, ৫০০ টাকার পাশাপাশি ২ হাজার টাকার নোটও এত জাল হচ্ছে কেন? তাহলে কি বাজার অর্থনীতির আড়ালে সমান্তরাল কালো অর্থনীতি চলছে?