আরজি কর আন্দোলন পর্বে স্বাস্থ্যসাথীর অপব্যবহার হয়েছে, এবার কড়া শাস্তির পথে হাঁটছে রাজ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে জানতে চান পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা। তাঁর প্রশ্ন, ‘আমরা শুনেছি, আর জি কর পর্বে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অপব্যবহার হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের কাছে কি কোনও তথ্য আছে? আর এই ঘটনা সত্যি হলে রাজ্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?’
জবাব দেওয়ার সময় এই ঘটনাকে রাজ্যের মানুষের সঙ্গে কার্যত বিশ্বাসঘাতকতা বলেই ইঙ্গিত করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘সহজ-সরল মনে আমরা অনেককে বিশ্বাস করি। কিন্তু অন্তত এক শতাংশ মানুষ এমন আছেন, যাঁরা সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহার করেই থাকে। আর জি কর আন্দোলন পর্বে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অপব্যবহার হয়েছে। তার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টাকা জনগণের। এই অর্থ যাঁরা নয়ছয় করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথম দফার তদন্ত ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন সব তথ্য ফের একবার খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। তারপরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিনই বিধানসভায় আরও একটি প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, গত এক বছরে স্বাস্থ্যসাথীর উপকার পেয়েছেন ২১ লক্ষ ২৭ হাজার ২৪৯ জন। এর জন্য খরচ হয়েছে ২ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। আর জি কর কর্মবিরতির সময় যে এই খরচ অনেকটাই বেড়েছে, সেটা আগেই প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। ওই সময়ই সরকারি হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিও উঠেছিল। এদিনও বালির বিধায়ক ডাক্তার রানা চট্টোপাধ্যায় এই সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন রাখেন। রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সংখ্যাও জানতে চান তিনি। উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী গত ১৩ বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। বলেন, ‘সরকারের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’