স্কুল পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের বরাদ্দে মাত্র ৭৪ পয়সা বৃদ্ধি! কী মত রাজ্যের শিক্ষামহলের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রায় দু’বছরেরও বেশি সময় পর স্কুল পড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২৭ নভেম্বর এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। বৃদ্ধি নামমাত্র হওয়ায় ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার ও শিক্ষামহল। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১ অক্টোবর নয়া হারে বরাদ্দ কার্যকর হবে। প্রাথমিকে ৫.৪৫ টাকা থেকে মাত্র ৭৪ পয়সা বেড়ে তা ৬.১৯ টাকা করা হয়েছে। উচ্চ প্রাথমিকে ৮.১৭ টাকা থেকে ১.১২ টাকা বাড়িয়ে ৯.২৯ টাকা হয়েছে। এই সামান্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেছেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক মিড-ডে মিলের বরাদ্দ নাম কা ওয়াস্তে যৎসামান্য বাড়িয়েছে। অথচ আমরা প্রতি স্তরে ন্যূনতম ৩ টাকা করে বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিলাম। এর ফলে আবার প্রমাণিত হল যে কেন্দ্র শিশুদের পুষ্টির বিষয়টিতে কতটা উদাসীন।” রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, শিশুদের মুখের খাবারের মান উন্নত করার বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের কোনও দায়িত্ববোধ নেই! এই বরাদ্দ বৃদ্ধি ন্যূনতম প্রয়োজন মেটানোর জন্যও যথেষ্ট নয়।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডার কথায়, বাজার দর অনুযায়ী বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি বহুদিন ধরেই জানানো হচ্ছিল। ২০২২ সালের ১ অক্টোবর শেষবার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৬ মাস পর এই সামান্য বৃদ্ধি কোনভাবেই পর্যাপ্ত নয়। একটি ডিমের দামই যেখানে ৭ টাকা, এই টাকায় ডিম কেনাও সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতি ৩ জন শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভোগে। অথচ এই নামমাত্র বরাদ্দ বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার পরিচয় দেয়। মিড-ডে মিলের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব। মাথাপিছু অন্তত ২০ টাকা বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। শিক্ষামহলের মত, খাদ্যপণ্যের দাম দিন দিন যে হারে বাড়ছে, সেই তুলনায় এই স্বল্প বরাদ্দ বৃদ্ধি কার্যত শিশুদের পুষ্টি সুনিশ্চিত করার পথে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াবে।