বড়দিনের আগেই খুলে যাচ্ছে গোরুমারার ধূপঝোরা গাছবাড়ি-সহ একাধিক বনবাংলো
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গোরুমারার অন্যতম আকর্ষণ ধূপঝোরা গাছবাড়ি প্রায় দেড় বছর পর খুলছে। পর্যটকদের চাহিদা পূরণে বনদপ্তর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধূপঝোরায় ছ’টি কটেজই চালু করছে। হলংয়ের ঘটনার জেরে আপাতত বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকছে না জঙ্গলের ভিতর অবস্থিত কাঠের বনবাংলোগুলিতে। সৌর আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে ভাড়াও কিছুটা কমছে।
প্রতিটি কটেজের ভাড়া রাখা হচ্ছে ১২০০ টাকা বলে জানা গিয়েছে। আপাতত কিছুদিন অফলাইনে বুকিং করা যাবে। তারপর চালু হয়ে যাবে অনলাইন বুকিং। ধূপঝোরা গাছবাড়ির অন্যতম আকর্ষণ হল মূর্তি নদীতে হাতিদের স্নান দেখা। দীর্ঘদিন ধরে ধূপঝোরা বনবাংলোয় বুকিং বন্ধ থাকায় হতাশ হচ্ছিলেন পর্যটকরা। অবশেষে তা খুলে যাওয়ার খবরে খুশি ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ধূপঝোরা গাছবাড়িতে বুকিং চালু হলে, গোরুমারায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। ধূপঝোরা গাছবাড়ি ছাড়াও, কালীপুর ও মৌচুকি বনবাংলোও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে খুলে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
গোরুমারায় এই সাতটি বনবাংলো রয়েছে, সেগুলি হল ধূপঝোরা গাছবাড়ি, মৌচুকি বনবাংলো, কালীপুর কটেজ, চালসার পানঝোরা ওয়াইল্ডনেস নেচার ক্যাম্প, মূর্তি বনবাংলো, লাটাগুড়ির হর্নবিল নেস্ট ও রামসাইয়ের রাইনো ক্যাম্প। বড়দিনের আগেই গোরুমারার বনবাংলোগুলি খুলে যাওয়ায় বছর শেষে ভিড় উপচে পড়বে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। প্রথম পর্যায়ে তিনটি চালু হচ্ছে। ধাপে ধাপে বাকিগুলিও চালু হবে।