সদস্য সংগ্রহ অভিযান মুখ থুড়বে পড়েছে, হাতছাড়া মাদারিহাট! ২০২৬-র আগে আরও নড়বড়ে BJP
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাতে মাত্র এক বছর সময়। ছ’টি বিধানসভা উপনির্বাচনের হারে অশনি সঙ্কেত দেখছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সদস্য সংগ্রহ অভিযান একেবারে তলানিতে। দিল্লির আশংকা ক্ষমতা দখল দূরের কথা, ছাব্বিশে পঞ্চাশ পেরোবে দল?
৩০ নভেম্বর সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, তা ফের বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। সময় পেলেও লক্ষ্যমাত্রা আদৌ কি পূরণ হবে? এ রাজ্যের গেরুয়া নেতৃত্বরা ভরসা দিতে পারছে না। অক্টোবরের ২ তারিখে গোটা দেশে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু হয়। গত ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় এসে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এখনও শাহদের বেঁধে দেওয়া এক কোটি সদস্যের লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশও করে উঠতে পারেননি বিজেপি নেতারা।
সূত্রের খবর, উত্তর থেকে দক্ষিণ একই ছবি। গত কয়েক বছরে বিজেপির গড় হয়ে ওঠা বনগাঁতেও বিজেপি সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে উঠতে পারেনি। ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মেরেকেটে প্রায় ১৪ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। কোচবিহার জেলার বিজেপি নেতাদের সব মিলিয়ে ৪ লক্ষ সদস্য করার টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। নভেম্বর মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত জেলার মাত্র ৫০ হাজার মানুষ বিজেপির সদস্য হয়েছে। গোটা বাংলার ছবিই এমন।
উপনির্বাচনে অধিকাংশ আসনে বড় ব্যবধানে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। হাতছাড়া হয়েছে জেতা আসন মাদারিহাট। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতে, গোটা বাংলায় বিজেপির হাল ছন্নছাড়া। বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন বুথকর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গে এখনও সব বুথে বুথ কমিটি তৈরি হয়নি। সাংগঠনিক ব্যর্থতা এর জন্য দায়ী। কেন্দ্রীয় নেতারা মানছেন, বহু কর্মী বসে গিয়েছেন। মাদারিহাটের মতো বিজেপির জেতা আসনে তৃণমূলের জয় স্পষ্ট করে দিয়েছে, গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গেও প্রভাব বাড়ছে তৃণমূলের। যা বিজেপির কাছে আশঙ্কার কারণ।
রাজ্য নেতৃত্বের কোন্দল প্রকট হচ্ছে। রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নিচুতলা, এমনকি মাঝারিস্তরের নেতা-কর্মীদের যোগাযোগের ঘাটতি আছে বলে মত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তাঁদের মতে, সাংসদ-বিধায়কদের নিজেদের এলাকায় সময় না দেওয়া, সংগঠনকে শক্তিশালী করার উপরে জোর না দেওয়া দৈন্যদশার কারণ। নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্ব সংগঠনকে দুর্বল করছে। বিধানসভার ফল ধরে রাখাই এখন বিজেপির সামনে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়।