ডেডলাইন ৩১ ডিসেম্বর! হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা আরও এক মাস বাড়াল রাজ্য

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরও এক হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার। শনিবার কৃষি বিপণন দপ্তর, বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, হিমঘরে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলু মজুত রাখা যাবে। হিমঘরে প্রচুর আলু মজুত রয়েছে এখন। কৃষি বিপণন দপ্তরের তথ্যানুসারে; ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের হিমঘরগুলিতে প্রায় ৮ লক্ষ ২০ হাজার টন আলু মজুত ছিল। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে খবর, এখন মজুত আলুর পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টন।
আলু নিয়ে জটিলতা কাটাতে তারকেশ্বরে বৈঠকে বসেছিলেন ব্যবসায়ী সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব। বাংলায় আলুর দাম স্বাভাবিক না হওয়ায় ভিন রাজ্যে আলু পাঠাতে দেওয়া হচ্ছে না। বর্ডারে আলুর লরি আটকে দেওয়া হয়েছে। লরি ছাড়া না-হলে এবং ভিন রাজ্যে আলু পাঠাতে না-দিলে সোমবার রাত থেকে আলু ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন। হিমঘর মালিকদের সংগঠনও একই সুরে কথা বলেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু মজুত রাখা যায়। সেই অনুযায়ী আলু রাখার ভাড়া নির্ধারণ করে কৃষি বিপণন দপ্তর। এবারও ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলু রাখলে কুইন্টাল প্রতি দক্ষিণবঙ্গে ১৮ টাকা ৬৬ পয়সা ও উত্তরবঙ্গে ১৯ টাকা ১১ পয়সা করে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে ব্যবসায়ীদের।
এখনও বাজারে নতুন আলুর জোগান নেই। উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের নতুন আলু অল্প পরিমাণে আসতে শুরু করেছে। নতুন আলুর দাম হিমঘরের মজুত আলুর থেকে বেশি। টাস্কফোর্সদের দাবি, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বাইরে থেকে নতুন আলুর সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম কমবে। রাজ্যে উৎপাদিত নতুন আলু বাজারে আসতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে। আম জনতার এখনই রেহাই মিলবে না।