বাংলাদেশে আটক মৎসজীবীদের ছাড়াতে কেন্দ্রকে চাপ, পাশাপাশি ওপার বাংলায় শান্তিবাহিনী পাঠানোর পরামর্শও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথমার্ধ্বেই যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক বিষয় নিয়ে বিবৃতি দেন। ওঠে বাংলাদেশের প্রসঙ্গও। গত কয়েক দিনে বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ভারতের মোট ৮৫ জন মৎস্যজীবী। মাছ ধরার সময়ে তাঁদের ট্রলার বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়ায় এই ধরপাকড়। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বাংলাদেশে ধৃত মৎস্যজীবীদের কথা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি।
মমতা বলেন, ‘‘আমাদের ৬৯ জন মৎস্যজীবী কিছু দিন আগে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিলেন। তাঁদের সেখানকার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা আইনজীবী দিয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’ বাংলাদেশ থেকে আসা একটি ট্রলারকে পশ্চিমবঙ্গে আটকানোর পরেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন মমতা। বৈধ কাগজপত্র থাকায় বাংলাদেশের ওই ট্রলারটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং সংখ্যালঘু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে বাংলাদেশের একাংশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছেন সে দেশের সংখ্যালঘুরা। প্রতিবাদ চলছে পশ্চিমবঙ্গেও। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার, যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কে চাপানউতর তৈরি হয়েছে।
মমতা জানিয়েছেন, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করবে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। বিধানসভা থেকে সোমবার তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠানোর আবেদন জানাক। মমতা জানিয়েছেন, তিনি চান মৎস্যজীবীদের গ্রেপ্তারি এবং তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিও কেন্দ্র গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করুক।
বেলডাঙা প্রসঙ্গেও এদিন বিধানসভায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের গোষ্ঠী সংঘর্ষে প্রশাসন কী পদক্ষেপ করেছিল তা নিয়ে বিধানসভায় ব্যাখ্যা দেন তিনি। সাফ জানালেন, কিছু দুষ্টু লোক দাঙ্গা করে আর সাধারণ লোকে ভোগে। শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ-প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ করেছে।