মাইনকে পাখির চোখ করছে না GenZ? সমীক্ষায় উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: চাকরি সংক্রান্ত এক বিখ্যাত উপদেষ্টা সংস্থা জেনারেশন জেড-র মানসিকতার হালহকিকত জানতে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করেছিল। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, জেনারেশন জেড বেতনকেই ‘পাখির চোখ’ করছে না। কাজে যোগ দিয়েই নতুন প্রজন্ম দেখতে চাইছেন, দীর্ঘমেয়াদে অর্থাৎ চাকরির বাদবাকি জীবনে তিনি ঠিক কোথায় দাঁড়াবেন। কেরিয়ারের কোন জায়গায় পৌঁছতে পারে, তার একটা স্বচ্ছ ধারণা তাঁরা পেতে চাইছেন কর্মজীবনের শুরুতেই। তার জন্য যা করতে হবে, তা করতে তাঁরা প্রস্তুত। তাঁদের বক্তব্য, লক্ষ্য ঠিক থাকলে অর্থ আসবেই। কাজের জায়গা আঁকড়ে জীবন কাটাতে চান না এই প্রজন্মের কর্মীরা। ব্যক্তিগত জীবনকেও গুরুত্ব দিতে চান। নয়া প্রজন্ম কাজের ধারাবাহিক স্বীকৃতি চায়। টিমওয়ার্কই ভরসা তাঁদের।
বেসরকারি সংস্থাগুলিতে নয়া প্রজন্মের কর্মীর হার গড়ে ২৭ শতাংশ। ১০ হাজার কর্মীর মধ্যে সমীক্ষা করা হয়েছে, ১০ জনের মধ্যে আটজনের মত বেতন শেষ কথা নয়। নয়া প্রজন্মের কর্মীরা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন একজন ভালো ‘বস’ পাওয়াকে এবং তাঁর থেকে কাজ শেখাকে। ৭৪ শতাংশ কর্মীর দাবি, তাঁরা কাজের জায়গায় সুস্থ পরিবেশ চান। তাঁরা চান, ধারাবাহিকভাবে কাজ বা সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। একসময় কদর হবে, এ মানসিকতায় স্থিত হতে চাইছেন না তাঁরা।
কর্মীদের বক্তব্য, প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে অবদানের স্বীকৃতি যেন মেলে। কাজের বাইরে গিয়ে নিজস্ব চিন্তাভাবনা কাজে লাগানোর জন্য পরিসর আশা করেন নবতম প্রজন্মের সিংহভাগ কর্মী। সমীক্ষায় ৬৮ শতাংশ কর্মীর দাবি, তাঁদের কাজের জায়গা যেন শুধু অফিসের চৌহদ্দিতে আটকে না থাকে। বাড়ি এবং অফিস মিলিয়ে কাজ করলে উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়ে, দাবি নয়া প্রজন্মের।