রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে সরব তৃণমূল কংগ্রেস

December 3, 2024 | 2 min read

বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে সরব তৃণমূল কংগ্রেস, গ্রাফিক: মানস মোদক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার বেলায় সংসদ চত্বরে আদানি ‘ঘুষকাণ্ডের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বেশ কয়েকটি শরিক দল। যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে একদম সামনের সারিতে ছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এসপি এবং তৃতীয় বৃহত্তম দল তৃণমূলের কোনও সাংসদকে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।

শুধুমাত্র একটি ইস্যুকে হাতিয়ার করে তৃণমূল যে সংসদ অচল করে রাখার পক্ষে নয় সে কথা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল তৃণমূল। এই বিষয়ে রাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, শুধু আদানি আদানি করে সংসদ অচল করে রাখলে বিজেপিরই সুবিধা। সংসদ অচল হলে মানুষের সমস্যা তুলে ধরার জায়গা পাওয়া যায় না। তাছাড়া শুধু একটা দুর্নীতির ইস্যু তুলে জনমানসে প্রভাব ফেলা যাবে না। তাই সংসদ অধিবেশনে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, বাংলার বঞ্চনা, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার পাওনা টাকা আটকে রাখা, সার-সংকট, মণিপুরে হিংসা-সহ উত্তর-পূর্বের সমস্যার কথা তুলে ধরতে চায় তৃণমূল।

মঙ্গলবার সংসদের দুই কক্ষেই দলের এই নীতি মেনেই চলল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে মসজিদের সমীক্ষা নিয়ে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যসভায় স্পিকারের কাছে আবেদন জানায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। কিন্তু এই বিষয়ে আলোচনার জন্য স্পিকার কম সময় বরাদ্দ করার রাজ্যসভায় ওয়াক আউট করেন দলের তৃণমূল সাংসদরা।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার পর এ বার বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করল তৃণমূল। বাংলাদেশ ইস্যুতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বিবৃতি দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার লোকসভার অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের পাশে আছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর যে অত্যাচার চলছে তা নিয়ে সংসদ বিবৃতি দিন বিদেশমন্ত্রী।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে কথা বলা উচিত ভারত সরকারের। সেই নিয়ে এ বার সংসদেও সুর চড়ালেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করা হচ্ছে, অত্যাচারিত হচ্ছেন হিন্দুরা। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিবিড়। সে কারণেই বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে, বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠানো হোক। রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে এই মর্মে কথা বলুক কেন্দ্র।

তৃণমূলের আর এক সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদম সঠিক কথা বলেছেন। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশি দেশ। সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে। কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ না করলে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ করা উচিত। পাশাপাশি এদিন সংসদে রেল ভ্রমণে প্রবীণ নাগরিকদের এবং সাংবাদিকদের জন্য ছাড় দেওয়ার দাবি তোলেন কীর্তি আজাদ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bangladesh law and order crisis, #Parliament, #Bangladesh, #tmc

আরো দেখুন