দিল্লির নির্দেশকে পাত্তা না-দিয়ে ফের বঙ্গভঙ্গের দাবি উত্তরের পদ্মনেতাদের গলায়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, এমন ইস্যুগুলো থেকে নেতাদের বিরত থাকতে বলেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু কেন্দ্রীয় পার্টির নিষেধ অমান্য করে ফের একই পথে হাঁটছে বঙ্গের বিজেপি নেতারা। সংগঠনের মরা গাঙে জোয়ার আনতেই কি ফের বাংলা ভাগের তত্ত্বে হাওয়া দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপির একাংশ? সোমবার দিল্লিতে জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের মন্তব্যে জল্পনা আবারও উস্কে উঠেছে।
মোদী আমলে স্বাস্থ্য পরিষেবার সাফল্য ও অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গের এই সাংসদ। তখনই রাজ্যের উত্তর বাংলার মানুষের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার উল্লেখ করেন তিনি। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বদান্যতায় উচ্চমানের চিকিৎসা পরিষেবার কথাও দাবি করেন তিনি। গেরুয়া সাংসদের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের ভৌগোলিক প্রকৃতি একইরকম। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ যে চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য পরিষেবা পান, তা উত্তরবঙ্গবাসীদেরও পাওয়া উচিত।
তবে কি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরবঙ্গকে একত্রে জুড়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে বাংলা ভাগের পক্ষেই হাওয়া তুললেন তিনি? এর আগে একইভাবে উন্নয়নের স্বার্থেই উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে জুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয়ে তিনি মোদীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। যদিও বিজেপি সাফাই দিয়েছিল, রাজ্য ভাগ করা দলের রাজনৈতিক অবস্থান নয়। তবে জয়ন্ত রায়ের কথায় জল্পনার আগুনে ফের ঘি পড়ল।