সংসদের দুই কক্ষে একাধিক ইস্যুতে সরব তৃণমূল সাংসদরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘সংসদে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধই রয়েছে, বিভক্ত নয়’। বুধবার একথা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে একটা কৌশল নেওয়া হচ্ছে ঠিকই কিন্তু আমরা সবাই সংসদ কক্ষে দাঁড়িয়ে বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছি, প্রশ্ন তুলছি। তবে তা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন দলের বিভিন্ন কৌশল রয়েছে।”
এদিন চলতি শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের দুই কক্ষে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা।
রাজ্যসভা
সাংসদ মৌসম নুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘আজ ৪ ডিসেম্বর ভারতের কৃষকদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি দেশকে মনে করিয়ে দিতে চাই ২০০৬ সালের আজকের এই দিনে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের অধিকারের জন্য ২৬ দিনের অনশন সংগ্রাম শুরু করেছিলেন।’
এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে মৌসম প্রশ্ন তোলেন, জেলে বন্দী বাবা-মায়ের সন্তানরা ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড প্রোটেকশন স্কিম (আইসিপিএস) আওতায় রয়েছে কিনা এবং যারা আইসিপিএস থেকে উপকৃত হয়েছে তাদের কী ধর্মীয় পরিচিতি প্রদান করতে পারে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে।
সাংসদ সুস্মিতা দেব জিরো আওয়ারে আসমের রাস্তা, রেলপথ এবং আকাশপথের সংযোগকে আরও উন্নত করার দাবি তোলেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে দোলা সেন জানতে চান, আইসিপিএস বাস্তবায়নে ৬০:৪০ হারে অনুদান দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনও পরামর্শ করেছে কিনা বা কোনও তথ্য নিয়েছে কিনা।
প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকেত গোখলে জিজ্ঞাসা করেন, ২০১৯-২৪ পর্যন্ত কতগুলি মাল্টি স্টেট কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক (MSCS) কাজ করছে। এখানে আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য দুর্নীতি এবং ঋণ খেলাপ রুখতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক কী কী পদক্ষেক করেছে?
এদিন মমতা ঠাকুর রাজ্যের নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ’ থেকে ‘বাংলা’ করার দাবি জানান।
লোকসভা
কীর্তি আজাদের জিরো আওয়ারে বলেন অবাঞ্ছিত ফোন কল করে মানুষকে এমন কী যারা ডিএডি (DND) করেছেন তাদের হয়রানি করা থেকে মুক্তি দিতে অভিযুক্ত সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করুক ট্রাই (TRAI)।
রেলওয়ে (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর উপর বক্তব্য রাখেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাপি হালদার, মিতালী বাগ।