গোটা বিশ্ব ও দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গও আরও ‘উষ্ণ’ হচ্ছে, বলছে রিপোর্ট
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দপ্তর। সেখানে দেখা যাচ্ছে গোটা বিশ্ব ও দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গও আরও ‘উষ্ণ’ হচ্ছে। রিপোর্টে এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৮১ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সময়ের গড় তাপমাত্রার থেকে ২০২৩ সালের গড় তাপমাত্রা ০.৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ১৯০১ সাল থেকে আবহাওয়া দপ্তর তাপমাত্রার পরিসংখ্যান নিচ্ছে। ২০২৩ সালের মতো এত বেশি গড় উষ্ণতা ১৯০১ সাল থেকে কখনও হয়নি বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দুই ধরনের তাপমাত্রার পর্যালোচনা করা হয়েছে এই রিপোর্টে। এতে দেখা যাচ্ছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার নিরিখে ২০২৩ সালটি উষ্ণতম ছিল। ১৯৮১ থেকে ২০১০ সালের গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তুলনায় ২০২৩ সালের গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.০১ ডিগ্রি বেশি ছিল। ১৯০১ থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সবথেকে বেশি ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিরিখে অবশ্য ২০২৩ সালটি চতুর্থ স্থানে ছিল। দীর্ঘকালীন (১৯৮১ থেকে ২০১০) গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তুলনায় ২০২৩ সালের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০.৬৬ ডিগ্রি বেশি ছিল বলে জানানো হয়েছে। ২০২৩ সালে বর্ষা ও বর্ষা পরবর্তী সময়ে গড় তাপমাত্রা ১৯০১ সাল থেকে সবচেয়ে বেশি ছিল। ২০২৩ সালের ১২ মাসেই গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দীর্ঘকালীন গড়ের থেকে বেশি ছিল। ওই বছরে মার্চ মাস ছাড়া বাকি ১১ মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও গড় তাপমাত্রা দীর্ঘকালীন গড়ের থেকে বেশি ছিল।
আবহাওয়া দপ্তরের এই রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে গরম রেকর্ড ভেঙেছে। ২০২৪ সাল সম্পূর্ণ হওয়ার পর বাৎসরিক রিপোর্ট প্রকাশ করবে আবহাওয়া দপ্তর। তখন বোঝা যাবে উষ্ণতার নিরিখে ২০২৩ সালকে ২০২৪ সাল ছাপিয়ে গেল কি না। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিশ্ব জুড়ে উষ্ণতা রেকর্ড ভাঙছে। পশ্চিমবঙ্গে উষ্ণতা রেকর্ড অতিক্রম করার পিছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবই পড়েছে বলে জানিয়েছেন, আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস। আবহাওয়া দপ্তরের এই রিপোর্ট অনুযায়ী, একশো বছরের মধ্যে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়েছে ০.৬২ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ক্ষেত্রে একশো বছরে বৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ০.৬৫ এবং ০.৬০ ডিগ্রি।