রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির আসন থেকে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল মেলার ঘটনায় সরগরম দিল্লির রাজনীতি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির আসন থেকে মিলল ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল! শুক্রবার এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তার পরেই উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। তবে রাজ্যসভার আসনে টাকা উদ্ধারের তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই কেন সংশ্লিষ্ট সাংসদের নাম প্রকাশ করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।
ঘটনা হল, কংগ্রেস সাংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি রাজ্যসভায় যে আসনে বসেন, সেই ২২২ নম্বর থেকে মিলেছে ৫০ হাজার টাকা। আর ওই টাকার মালিক কে? কোথা থেকে এল? তা কি সাদা, নাকি কালো টাকা? ইত্যাদি প্রশ্ন তুলে সরব হয় বিজেপি। এদিন সভার শুরুতেই ধনকার জানালেন, অধিবেশন শেষের পর বৃহস্পতিবার রাতে নিরাপত্তারক্ষীরা রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় ২২২ নম্বর আসন তাঁরা ওই টাকা পেয়েছেন। একথা শুনেই বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সরব হন। তাঁরা টাকার উৎস জানতে চান।
প্রতিবাদ করেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বলেন, তদন্তেরই যখন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তখন এ ব্যাপারে কোনও আলোচনাই হওয়া উচিত নয়।
উভয়পক্ষের বাদানুবাদের জেরে সভা মুলতুবি হয়ে যায়। সিংভি অবশ্য এদিন সংসদে আসেননি। সুপ্রিম কোর্টে মামলায় ব্যস্ত ছিলেন। তারই মধ্যে সংসদে টাকার সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানোয় ভিডিও বার্তা জারি করেন। বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমি সংসদে গিয়েছিলাম বটে। তবে আমার পকেটে ছিল মাত্র একটি ৫০০ টাকার নোট। বেলা ১২ টা ৫৭ মিনিটে রাজ্যসভায় গিয়েছিলাম। তিন মিনিট পরেই সভা মুলতুবি হয়ে যায়। তারপর আমি ক্যান্টিনে ছিলাম রামি রেড্ডির সঙ্গে। দেড়টা পর্যন্ত সেখানে ছিলাম।’
যদিও সিংভির এই বক্তব্যের পরেও কংগ্রেসকে ‘সন্দেহে’র কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে ছাড়েনি বিজেপি। সভার বাইরে দলের রাজ্যসভার এমপি সুধাংশু ত্রিবেদির বক্তব্য, কার টাকা বলতে সমস্যা কোথায়? পাল্টা দিয়েছেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েনও। তাঁদের প্রশ্ন, সভা কক্ষে রয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা। সেখানেই তো ধরা পড়বে পুরো ঘটনা। তাহলে এটা নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করার কি আছে?