ডলফিন, প্যাঙ্গোলিন, ফিশিং ক্যাট রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ বন দপ্তরের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে আমাদের বনাঞ্চল এবং জলাশয়ে। যেমন, গঙ্গার ডলফিন বা শুশুক নিয়ে মানুষের আবেগের শেষ নেই। তাকে দেখতে বহু লোক নানা সময়ে গঙ্গার ধারে ভিড় জমান। কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রক, একে ভারতের সরকারি জলজ প্রাণী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে গঙ্গা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই শুশুক। প্যাঙ্গোলিন ও ফিশিং ক্যাট-ও রয়েছে সে পথে। বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীদের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য বন দপ্তর।
গঙ্গার কিছু অঞ্চলে ডলফিন, শুশুক ও অন্যান্য জলজ প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গায় বাড়তে থাকা দূষণ এবং মানুষের প্রভাবের ফলে এই প্রাণীগুলোর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষত ডলফিনের সংখ্যা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে, কারণ গঙ্গায় মাছ ধরার জালে আটকে পড়ে অনেক সময় এসব প্রাণী মারা যায়। এছাড়া, দুর্ঘটনা বা মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে নিপীড়নও এক অন্যতম কারণ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
প্যাঙ্গোলিনের ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি। এটি এক ধরনের একাকী জীবনযাপনকারী প্রাণী, যেটি মূলত পিঁপড়ে এবং উই খেয়ে বেঁচে থাকে। কিন্তু বৃক্ষ নিধন এবং বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে এই প্রাণীর খাদ্যশৃঙ্খলা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, যার কারণে প্যাঙ্গোলিনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তবে বনদফতর এই প্রাণীর সংরক্ষণে বিশেষ নজর দিচ্ছে এবং একে বাঁচাতে কৃত্রিম প্রজনন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
ফিশিং ক্যাট, যা জলাভূমি ও নদীর তীরে বাস করে, তার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। জলাশয় ধ্বংস, গাড়ির চাপা পড়া এবং মানুষের সঙ্গে সংঘাতের কারণে মেছো বেড়ালের সংখ্যা নেমে এসেছে বিপদের সীমায়। এভাবে পরিবেশ ও প্রাণীজগতের প্রতি মানুষের অজ্ঞানতা বা অবহেলা অনেক প্রাণীকে বিলুপ্তির পথে নিয়ে যাচ্ছে।
বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, তারা সমীক্ষা চালিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবে, যা থেকে জানা যাবে এই প্রাণীগুলোর অস্তিত্ব কতটা বিপন্ন। একই সঙ্গে এসব প্রাণী রক্ষায় সজাগ দৃষ্টি রাখতে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সহযোগিতা কামনা করা হবে।