মিটিং-মিছিল বা সভা-সমাবেশে গোলমাল পাকাচ্ছে কারা, তথ্যভাণ্ডার তৈরি করছে লালবাজার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিভিন্ন ইস্যুতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রায়ই মিটিং-মিছিল হচ্ছে। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই পুলিসের অনুমতি নেওয়া হচ্ছে না। বেআইনি জমায়েতকারীদের সরাতে গিয়ে প্রায়ই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে পুলিসকে। বহু জায়গায় কর্তব্যরত পুলিস কর্মীদের হেনস্তা আর মারধর করা বিভোক্ষকারীদের টার্গেট। সম্প্রতি স্বঘোষিত এক সংগঠনের নবান্ন অভিযানে কাশ্মীরের ধাঁচে ‘স্টোন পেল্টারদের’ মতো বিক্ষোভকারীদের ইটবৃষ্টির মুখে পড়তে হয়েছিল উর্দিধারীদের। অতিরিক্ত জমায়েতের কারণেও পুলিসকে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে। নিরাপত্তাজনিত সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
তাই এবার নিজস্ব তথ্যভাণ্ডার তৈরি করছে লালবাজার। বিক্ষোভরতদের মধ্যে কারা উস্কানি দিচ্ছে, সেটি চিহ্নিত করতেও আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘সায়েন্টিফিক ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। সেই কারণে কলকাতা শহরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের ধরণ, বিক্ষোভকারীদের আচরণ, হঠাৎ হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার কারণ কী, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ।
২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে স্বাভাবিকভাবেই শহরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগঠনের মিছিল মিছিল সভা সমাবেশের চাপ পড়বে। তাই সায়েন্টিফিক ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের রাস্তায় হাঁটতে উদ্যোগী হয়েছে লালবাজার। কর্তারা বুঝতে পারছেন, কম সংখ্যক পুলিস কর্মী নিয়ে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ও প্রযুক্তকে কাজে লাগিয়ে বড় সভা-সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করা বেশি দরকার।
সেই কারণে যে সমস্ত রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করে তাদের কর্মী-সমর্থকদের আচার-আচরণ কীরকম, পুলিসের বেঁধে দেওয়া নিয়মকানুন কতটা মানতে উদ্যেগী, তাই নিয়ে একটা বিজ্ঞানসম্মত কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দলের সভা, বিক্ষোভ সমাবেশের প্যাটার্ন কী তার বিশ্লেষণ করার কাজ চলছে। এই সভায় যাঁরা আসছেন, তাঁরা একটি নির্দিষ্ট রুটে আসছেন, নাকি বিভিন্ন পথ বেছে নিচ্ছেন, তার তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্য স্ট্যাটিটিক্স ধরে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। সভাসমাবেশে আসা কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কারা বারবার হামলা চালাচ্ছে, তার ডেটাবেস তৈরি করার কাজ শুরু করেছেন আধিকারিকরা। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।