ডেঙ্গু-সহ ভেক্টরবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে বাংলারজুড়ে শুরু হচ্ছে সমীক্ষা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। আগামী বছরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও উন্নতির লক্ষ্যে এখন থেকেই নামছে রাজ্য। নয়া বছরের রূপরেখা তৈরি করে কাজও শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থা সুডা। ওয়ার্ডভিত্তিক সমীক্ষার কাজে নেমে পড়েছে রাজ্যের ১২৯টি পুরসভা।
ভেক্টর কন্ট্রোল মনিটরিং অফিসার ও ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সুপারভাইজাররা যৌথভাবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বাড়িওয়ারি সমীক্ষা চালাবেন। ডেঙ্গুবাহক মশার বংশবিস্তারের অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে, এমন জায়গা নজরে এলে ‘আশ্বাস’ অ্যাপের মাধ্যমে দ্রাঘিমাংশ ও অক্ষাংশ-সহ স্থানটির ছবি ও তথ্য নথিভুক্ত করা হচ্ছে। ছবি ও তথ্য প্রতিদিন রাজ্যস্তর থেকেও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নথিভুক্তকরণের কাজ হওয়ার পর তথ্যের ভিত্তিতে মাইক্রোপ্ল্যান তৈরি করে দ্রুত পদক্ষেপ করবে পুরসভাগুলি।
এখন ধাপে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। সাতটি বিশেষ পরিস্থিতি থাকলে পুরসভাগুলিকে বাড়তি গুরুত্ব ও নজর দিতে বলা হয়েছে। ফাঁকা জমিতে কোথাও আবর্জনা জমতে থাকলে তা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। কচুরিপানা ভর্তি জলাশয়, যেসব পুকুর বা ডোবার ধারে কচুগাছ আছে, সেগুলিও চিহ্নিত করতে হবে। ঢাকা দেওয়া নর্দমা, উপচে পড়া ভ্যাট, রাস্তার ধারে বা নদীর পারে কোথাও আবর্জনা জমলে স্থানগুলিকে ডেঙ্গু ছড়ানোর প্রশ্নে ঝুঁকিপূর্ণ বলে গণ্য করা হবে। সমস্ত বড় আবাসনের ছাদ ও ভিতরের পরিস্থিতি নজরে রাখতে হবে পুরসভাগুলিকে। নির্মীয়মাণ বাড়ির ক্ষেত্রে সেপটিক ট্যাঙ্ক, জলের রিজার্ভার, লিফটের জন্য ফাঁকা রাখা জায়গা মশার বংশবিস্তারের উপযুক্ত ক্ষেত্র হতে পারে। পরিত্যক্ত বাড়ি, গবাদি পশুর খাটাল, ফ্যাক্টরি ও মিলের যেখানে জল জমার আশঙ্কা থাকে, সেগুলিও চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছে সুডা। ধর্মীয়, দর্শনীয় স্থান-সহ পিকনিক স্পটগুলিকে বিশেষ নজরদারির আওতায় রাখতে বলা হয়েছে।