শীতে দেদার কমলালেবু খাচ্ছেন, লেবুর খোসার উপকারিতা জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কমলালেবু খাচ্ছেন দেদার। জানেন খোসার উপকারিতা? হেলায় খোসা ফেলে দিয়ে নষ্ট না করে জমিয়ে রাখুন। শুকনো খোসা ছোট ছোট টুকরো করে মিক্সিতে গুঁড়ো করে পাউডার হবে। তা দিয়ে রূপচর্চা করলেই কেল্লাফতে। ত্বকের জেল্লা বাড়বে। কমলালেবুর খোসা মিশিয়ে অসংখ্য ফেস প্যাক তৈরি করা যায়, যা ত্বকে অ্যান্টি-এজিং ও অ্যান্টি-ট্যান এফেক্ট তৈরি করতে পারে। তৈলাক্ত, শুষ্ক, স্বাভাবিক ত্বক সবেতেই উপকারি কমলালেবুর খোসা।
কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের দাগছোপ দূর করে, ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। দই বা মধুর সঙ্গে কমলালেবু খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে লাগালে ত্বক নতুন করে তরতাজা হয়ে উঠবে।
দু’চামচ চালের গুঁড়ো, এক চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো আর পরিমাণমতো গোলাপ জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে সপ্তাহে একদিন মুখে লাগাতে পারেন। এতে তৈলাক্ত ভাব অনেকটা কমবে। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে এক চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়োর সঙ্গে মেশান এক চামচ মধু, আর এক চামচ ময়দা, সঙ্গে পরিমাণমতো জল। এই মিশ্রণ ত্বক থেকে ট্যান কমাতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল করে।
কমলালেবুর খোসার পাউডারের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো, এক চামচ মুলতানি মাটি, পরিমাণমতো দুধ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগালে ব্রণ এবং ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস কমে। ত্বকে লালচে পোড়া ভাব থাকলে বাড়িতে বানানো কমলালেবুর খোসার গুঁড়োর সঙ্গে মেশান দু’চামচ অ্যালোভেরা। এই মিশ্রণে দু-তিন ফোঁটা লেবুর রস যোগ করুন। পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে মুখে মেখে মিনিট পনেরো রেখে দিন। তারপর মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে লালচে ভাব দূর হবে।
এক চামচ দই, এক চামচ মধুর সঙ্গে দু’চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো মেশান। ঘন মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রেখে দিন ১০-১২ মিনিট। জলে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বক ঝকঝক করবে। স্ক্রাব হিসেবেও কাজে লাগাতে পারেন কমলালেবুর খোসার পাউডারকে।
কমলালেবুর খোসা খেতে পারলেও উপকার আছে। তবে জিনিসটি শরীরে মানিয়ে নিয়ে খাবেন এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাওয়ার কথা ভাববেন। খোসায় রয়েছে পলিফেনল যা হার্ট ভালো রাখে এবং হজমশক্তিতে সহায়ক। ওবেসিটি ও অ্যালঝাইমার্স রোগেও খোসা খেলে উপকার মিলতে পারে।