প্রযুক্তি বিভাগে ফিরে যান

অ্যাপ ডাউনলোড করেই ‘পারমিশন বক্স’-এ ‘টিক’ দিচ্ছেন? আটকে পড়ছেন প্রতারণার জালে

December 10, 2024 | 2 min read

— ছবি সৌজন্যে: Istock

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফোনে নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করেই সব ‘পারমিশন বক্স’-এ ‘টিক’ দিচ্ছেন। তাড়াহুড়োতে পড়ার সময় কোথায়! নিয়মাবলি না-পড়েই ধৈর্য্য হারিয়ে গ্রাহকরা অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছেন। এখানেই লুকিয়ে প্রতারণার ফাঁদ। সম্মতি জানাতেই ডার্ক ওয়েবে চলে যাচ্ছে ফোনে থাকা গোপন তথ্য। ডেটা সিকিওরিটি কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার সমীক্ষা বলছে, কলকাতায় প্রত্যেকের মোবাইল ফোনে অন্তত ৪৪টি করে এমন অনুপ্রবেশকারী সফ্টওয়্যার ঢুকে রয়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘ম্যালওয়্যার’।

সমীক্ষা বলছে, ম্যালওয়্যার সবচেয়ে বেশি হারে মোবাইলে ঢুকেছে এমন রাজ্যের নিরিখে শীর্ষে তেলেঙ্গানা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে তামিলনাড়ু ও দিল্লি। তালিকায় সপ্তম স্থানে আছে বাংলা। সার্বিকভাবে বাংলার প্রতিটি মোবাইলে অন্তত ৩১টি করে ম্যালওয়ার ঢুকে রয়েছে। ডিএসসিআইয়ের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার বিনায়ক গডসে জানান, দেশজুড়ে প্রায় ৩ হাজার ৬৯০ লক্ষ ম্যালওয়্যারের সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে বেশিরভাগই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর। যার জেরে গ্রাহকের মোবাইলে সার্চ করা যাবতীয় তথ্য অজান্তেই চলে যাচ্ছে ডার্ক ওয়েবে, যেখানে ওঁত পেতে বসে সাইবার প্রতারকরা।

আরও পড়ুন: আজকের মধ্যেই দিতে হবে প্রমাণ, অশোক দিন্দার দাবি ঘিরে কড়া অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়

ম্যালওয়্যারের মোকাবিলা করার উপায় খুঁজতে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞরা। ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে অ্যান্টি-ভাইরাস রাখেন বেশিরভাগ মানুষ। অনেক অ্যাপ বা সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করতে গেলে বাধা দেয় সুরক্ষা কবচ। কিন্তু, মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। এর জেরেই গ্রাহকের ফোনে থাকা মোবাইল নম্বর, জি-মেল, লোকেশন, সার্চ-ইঞ্জিন অপারেশনের যাবতীয় কার্যকলাপ থার্ড পার্টির হাতে চলে যাচ্ছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় ম্যালওয়্যার অ্যাটাকের হার ৮.৩৫ শতাংশ। ম্যালওয়্যার অ্যাটাকের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে সুরাত, বেঙ্গালুরু ও হায়দ্রাবাদ। তিন শহরে প্রতিটি মোবাইল ফোনে গড়ে অন্তত ৫৫টিরও বেশি ম্যালওয়্যার পাওয়া গিয়েছে। তুলনায় অনেকটাই নিরাপদ কলকাতা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata, #malwares, #malware software

আরো দেখুন