স্প্যাম কলের টার্গেট কারা? বিস্ফোরক তথ্য সমীক্ষায়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সম্প্রতি বেসরকারি এক টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে,
অনুন্নত স্মার্টফোনের মালিকরাই নাকি বেশি পান স্প্যাম কল। অনাকাঙ্ক্ষিত ফোন কলই হল স্প্যাম কল। যা বিজ্ঞাপন বা প্রতারণার জন্য করা হয়। ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে প্রতারণার প্রাথমিক সূত্রও হয় স্প্যাম কল। গোটা দেশে স্প্যাম কলের রাজত্বের মধ্যেও বাংলার অবস্থা অত্যন্ত ভাল।
দামী ও উন্নত ফোন ব্যবহারকারীদের কাছে নয়, ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দামের ফোন ব্যবহারকারীদের কাছে সবচেয়ে বেশি এই ধরনের কল আসে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব দামি ফোন যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের উচ্চশিক্ষিত এবং প্রযুক্তিগতভাবে ওয়াকিবহাল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। কোনও ধরনের প্রতারণার ফাঁদ তাঁরা সহজেই ধরে ফেলতে পারেন। উন্নত স্মার্টফোনের ডিজিটাল সিকিউরিটিও উন্নত হয়। চট করে সেগুলি হ্যাক করা সম্ভব হয় না। সে’কারণেই হয়ত স্প্যামারদের টার্গেট মাঝারি বা কম উন্নত স্মার্টফোন। তারা ধরে নেয়, এমন ফোন ব্যবহারকারীরা প্রযুক্তির খুঁটিনাটি কম বোঝেন। তাঁদের ফাঁদে ফেলাও সহজ। ফোনের সিকিউরিটি কম থাকায় স্প্যামারদেরও সুবিধা হয়।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, স্প্যাম কল মহিলাদের তুলনায় বেশি পান পুরুষরা। ৭৯ শতাংশ স্প্যাম কলই যায় পুরুষের কাছে। ৪৮ শতাংশ কল করা হয় ৩৬ থেকে ৬০ বছর বয়সসীমার পুরুষদের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ২৬-৩৫ বছর বয়সের গ্রাহকেরা, ২৬ শতাংশ কল তাদের কাছে আসে। দেশের অধিকাংশ স্প্যাম কলই হয় ল্যান্ডফোন থেকে। তবে দিল্লি, মুম্বই, কর্ণাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশে আবার মোবাইল থেকে স্প্যাম কলগুলি করা হয়।
প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু স্প্যাম কলের ঘাঁটি। কেরল, ওড়িশা, গুজরাত, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যে স্প্যামের সংখ্যা কম। স্প্যাম কলের নিরিখে সবচেয়ে কম রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলা।