এবার রাজ্যের ব্লক এবং গ্রামীণ হাসপাতালও পেতে চলেছে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জনস্বার্থে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একের পর এক পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার। ২০১২ সালে হাসপাতালে হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান অর্থাৎ ফেয়ার প্রাইস শপ চালু হয়। সম্পূর্ণ বিনামূল্যের চিকিৎসা, ফ্রি মেডিসিন, স্বাস্থ্যসাথ-সহ একের পর এক নয়া প্রকল্পে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কার্যত বিপ্লব এসেছে। এবার রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষের জন্য বড় খবর হল, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলার ৩৪৭টি ব্লক এবং গ্রামীণ হাসপাতালেও ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান চালু হতে চলেছে। দোকানগুলির সংখ্যা বেড়ে হবে ৪৬০টির বেশি। ব্লক হাসপাতালগুলিতে কমপক্ষে ১৪০টি ওষুধ সুলভ মূল্যে দিতে হবে।
প্রতিটি পরিবারেই হাজার হাজার টাকার ওষুধ লাগে ফি মাসে। কোথায় বেশি ছাড়ে ওষুধ মিলবে, খুঁজতে থাকেন রোগীর বাড়ির লোকজন। ফলে রাজ্যের এই উদ্যোগ রেহাই দিতে পারে তাদের। রি-টেন্ডার হওয়া পুরানো ন্যায্য মূল্যের দোকানগুলিতে অন্তত ৫০ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ পাবেন রোগীরা। সর্বোচ্চ ডিসকাউন্ট মিলতে পারে ৮৬ শতাংশ। ব্লক হাসপাতালগুলিতে দোকান হলে হয়তো বেশিই ছাড় মিলবে। নিদেনপক্ষে সমান ছাড় তো মিলবেই। উপকৃত হবেন বাংলার কোটি কোটি মানুষ।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন বাংলায় মেডিক্যাল কলেজ, জেলা, মহকুমা, স্টেট জেনারেল ও হাতেগোনা একটি-দুটি গ্রামীণ হাসপাতাল মিলিয়ে ১১৭টি ন্যায্যমূল্যের দোকান রয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি ওষুধের দোকান সেগুলি চালায়। ২০১২-২২ ১০ বছর ধরে চলেছে আগের চুক্তি। করোনার জেরে রাজ্য ২-৩ বছর তা নবীকরণ করতে পারেনি। সম্প্রতি ফের টেন্ডার হয়েছে। চুক্তি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০৫টি দোকানের জন্য নতুন একাধিক সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১২টি জায়গায় টেন্ডার হওয়া বাকি। প্রতিযোগিতার জেরে ব্লক হাসপাতালগুলিতে টেন্ডার হলে আরও বেশি ছাড় দিতে পারে সংস্থাগুলি। গুণমানের দিকেও নজর রাখছে রাজ্য।