সোমে ট্রাক্টর মার্চ, মঙ্গলে রেল রোকো, জোরালো আন্দোলনে কৃষকরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ, সোমবার পঞ্জাব ও হরিয়ানার সীমানা এলাকাজুড়ে ট্রাক্টর মার্চ হবে। আগামীকাল, মঙ্গলবার রেল রোকো আন্দোলন কর্মসূচি হবে। কৃষকরা চরম হুঁশিয়ারি দিতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন সরকারি আধিকারিকরা। রবিবার পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানার খানাউরি সীমানায় গিয়ে অনশনরত প্রবীণ কৃষক নেতা জগজিৎসিং দাল্লেওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। আন্দোলনকারীরা সরকারি প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনের আওতায় নিয়ে না এলে কোনও আলোচনাতে তাঁরা রাজি নন। পাশাপাশি বাকি ১১ দফা দাবি নিয়েও কথা বলতে হবে। প্রবেশ করতে দিতে হবে দিল্লিতে। আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্না-অবস্থানে বসবেন রাজধানীতে।
কৃষকদের অনড় অবস্থানের মধ্যেই ঘোষিত হয়েছে আরও কর্মসূচি। আজ, সোমবার আন্দোলনকারীদের ট্রাক্টর মার্চের পর কেন্দ্র-কৃষক সংঘাত আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। রবিবার খানাউরি সীমানায় কৃষকদের আন্দোলনে যোগ দেন কংগ্রেস নেত্রী কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগত। তিনি বলেন, এবার ভাষণ ছেড়ে কিছু কাজও করুন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের কথা ভাবুন। দেশের গরিব মানুষের কথা চিন্তা করুন। ভিনেশের অভিযোগ, দেশে এখন জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আন্দোলন জোরদার করতে রবিবার সংযুক্ত কিষান মোর্চাকে চিঠি লিখেছেন কিষান মজদুর মোর্চার শীর্ষ নেতা এসএস পান্ধের।
শম্ভু এবং খানাউরি সীমানার আন্দোলনে প্রধানত প্রথম সারিতে রয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা এবং কিষান মজদুর মোর্চার মতো দুটো কৃষক সংগঠন। পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় গিয়ে শনিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতা রাকেশ টিকায়েত। নীতিগত সমর্থন করলেও সংযুক্ত কিষান মোর্চা সরাসরি পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানার কৃষক আন্দোলনে জড়িত নেই।