রেলের এসি ক্লাসে ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ স্ট্যান্ডিং কমিটির, মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদে রেলের ডিমান্ডস ফর গ্রান্টস সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে ওই সংসদীয় কমিটি। সেখানে সুপারিশ করা হয়েছে, ট্রেনের জেনারেল ক্লাস আম আদমির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই জেনারেল ক্লাসকে সাশ্রয়ী রাখতে হবে। বরং রেলের আর্থিক ক্ষতি সামাল দেওয়ার জন্য এসি ক্লাসের ভাড়া পুনর্বিন্যাসের চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। চর্চা শুরু হয়েছে, ট্রেনের এসি ক্লাসে কি শুধুই আর্থিকভাবে উচ্চবিত্ত মানুষই সফর করেন? উত্তর না মিললেও রেল সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এহেন সুপারিশকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনগুলির ‘ডায়নামিক ফেয়ার’! সঙ্গে কমেছে জেনারেল কোচের পরিসর। জেনারেল টিকিটের ভিড় চলে আসছে স্লিপার-এসি থ্রি টিয়ারের দিকে। এসবের দৌলতে নাভিঃশ্বাস উঠছে সাধারণ মধ্যবিত্ত রেলযাত্রীদের। আর এই আবহেই এবার ট্রেনের এসি ক্লাসের ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ করল বিজেপি এমপি সি এম রমেশের নেতৃত্বাধীন রেল সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। অর্থাৎ, মোদী সরকারের নিশানা সেই মধ্যবিত্ত!
বিগত দু’টি আর্থিক বছরে রেলের সার্বিক রাজস্ব আদায় একেবারেই আশানুরূপ হয়নি। একথা উঠে এসেছে কমিটি রিপোর্টে। জানানো হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রেলের পণ্য পরিবহণ থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা আয় হতে পারে। সেখানে যাত্রী রাজস্ব থেকে সম্ভাব্য আদায়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে মাত্র ৮০ হাজার কোটি। কমিটি মনে করছে, সার্বিক আয় বৃদ্ধি করতে হলে যাত্রীভাড়া থেকে রাজস্ব আদায় বাড়ানোই অন্যতম প্রধান পথ। এবং এই প্রেক্ষিতেই তাদের সুপারিশ—ক্ষতি কমানোর জন্য এসি ট্রেনের যাত্রীভাড়া নিয়ে চিন্তা করুক রেল।