বিদেশি পর্যটকদের ডুয়ার্সের জঙ্গলের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে প্রচারে জোর দিচ্ছে বনদপ্তর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিদেশি পর্যটকদের ডুয়ার্সের জঙ্গলের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে জোর দিচ্ছে বনদপ্তর। গোরুমারায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে বুধবার কার সাফারিতে শামিল হন ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন। জঙ্গলের নানা অজানা তথ্য তিনি তুলে ধরেন পর্যটকদের সামনে। খোদ বনকর্তা কার সাফারিতে শামিল হওয়ায় খুশি কলকাতা থেকে গোরুমারায় আসা পর্যটকরা।
সাফারি শেষে ডিএফও বলেন, খোলা জিপসিতে জঙ্গলে সাফারি করার অভিজ্ঞতাই আলাদা। পর্যটকরা যাতে আরও বেশি বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ পান, সেজন্য কার সাফারির রুট বাড়ানো হচ্ছে। লাটাগুড়ি থেকে যাত্রাপ্রসাদ ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত যে কার সাফারির রুট রয়েছে, সেটি আরও চার কিমি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একইভাবে মূর্তি থেকে চাপড়ামারি পর্যন্ত যে কার সাফারি হয়ে থাকে, তার রুটও বাড়ানো হচ্ছে। নতুন বছরের শুরু থেকেই একই ভাড়ায় বাড়তি রুটে সাফারির সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। একসময় গোরুমারায় ভালো সংখ্যায় বেড়াতে আসতেন বিদেশিরা। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কমেছে এখানে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে এদিন ডিএফও বলেন, ভিনরাজ্যের কিংবা বিদেশের পর্যটকদের ডুয়ার্সের জঙ্গলের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে জোর দেওয়া হবে। ডিএফও আরও বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি বনবাংলো পর্যটকদের জন্য খুলে দিয়েছি। সেখানে বিদ্যুতের পরিবর্তে সৌর আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এবার সাফারির রুট বাড়তে চলেছে। বর্তমানে যাত্রাপ্রসাদ ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত সাত কিমি পথে কার সাফারি হয়। সেটি বাড়িয়ে ১১ কিমি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের মেদলার দিক থেকে জঙ্গলপথ ঘুরিয়ে আনা হবে। এতে তাঁরা আরও বেশি হাতি, গন্ডার সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ পাবেন।