আম্বেদকর ইস্যুতে অমিত শাহকে নিয়ে কোণঠাসা বিজেপি, পাশে নেই বন্ধু দলগুলিও
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সংসদের অন্দরে এবং বাইরে অমিত শাহের পক্ষে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে বিজেপি সাংসদরা আক্রমণ করলেও অস্বস্তি শুরু হয়েছে দলেই। বিজেপির উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং মহারাষ্ট্র শাখা থেকে বার্তা এসেছে যে, সেখানে অমিত শাহের বক্তব্য নিয়ে বিরোধীরা গোটা রাজ্যে প্রচারে নেমেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের দপ্তরে দপ্তরে ক্ষিপ্ত বিজেপি কর্মীরা আক্রমণও চালিয়েছে। সবথেকে বড় সঙ্কট হল শুধু বিরোধী জোট নয়, বিজেপির বন্ধু দল ও জোট শরিকরাও এই ইস্যুতে কেউ পাশে নেই।
বিজেপির এতদিনের নিঃশব্দ বন্ধু মায়াবতী তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে বলেছেন অমিত শাহকে দলিত সমাজ ক্ষমা করবে না। বাবাসাহেবের অনুগামীরা অমিত শাহের এই মন্তব্য কোনওদিন ভুলবে না। অমিত শাহকে ক্ষমা চাইতে হবে। আগামী বছর বিহারে ভোট। তারই প্রাক্কালে অমিত শাহ যেভাবে ‘আম্বেদকর আম্বেদকর করা আজকাল ফ্যাশন হয়েছে’ বলে সংসদে ভাষণ দিয়েছেন, তা চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে নীতীশ কুমারকে। অমিত শাহের পাশে দাঁড়ানোর কোনও অবস্থানই নেয়নি নীতীশের দল। বিজেপির একজনও জোট শরিক সরাসরি এই ইস্যুতে বিজেপির পাশে নেই। আর এই সুযোগ আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল নীতীশকুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুকে চিঠি লিখে বলেছেন, অমিত শাহ বাবাসাহেব আম্বেদকরকে নিয়ে যে চরম অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন, আপনারা কি সেই মন্তব্যকে সমর্থন করেন? এখনও কি আপনারা এই দলিত বিরোধী মোদী সরকার ও বিজেপিকে সমর্থন করে যাবেন? স্বাভাবিকভাবেই কেজরিওয়াল মোদি সরকারের দুই প্রধান জোট শরিককে রীতিমতো ধর্ম সঙ্কটে ফেল দেওয়ার জন্য এই চিঠি লিখেছেন।
বিহার নির্বাচনে এই আম্বেদকর ইস্যুই চালকের আসন নিতে চলেছে। বৃহস্পতিবারই অমিত শাহকে রাজনীতি থেকে অবসর নিতে উপদেশ দিয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব। এমতাবস্থায় অমিত শাহ যত প্রচারে যাবেন, ততই তাঁকে দলিত ও আম্বেদকর বিরোধী তকমা দেবে ইন্ডিয়া জোট। লাগাতার এই প্রচার চললে, অমিত শাহের বিজেপি মুখ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে বলে নিশ্চিত বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। যখন দল ও সরকারের দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী ব্যক্তিকে নিশ্চিতভাবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার প্রবল চেষ্টা করছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।