শীতে ভাটা পড়েছে! বৃষ্টি হতে পারে বড়দিনে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীতে ভাটা পড়েছে! আচমকা হাওয়া গরম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হু হু করে বেড়ে ঘাম বের করে দিচ্ছে। জ্যাকেট-সোয়েটার খুলে ‘কি গরম, কি গরম’ বলে আফসোস শুরু হয়েছে শহরে।
এ সময় কোথায় উত্তুরে হাওয়া দেবে, সেই হাওয়ায় গা এলিয়ে বসা যাবে, তা না! এই শেষ ডিসেম্বরেও রোদে চাঁদি ফাটছে, হাতে একখানা ছাতা থাকলে ভালো। কিছুদিন আগে কলকাতার ন্যূনতম তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল সাড়ে বারো ডিগ্রিতে। বৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাল, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সর্বোচ্চ ২৬.৩। প্রসঙ্গত ভরা এপ্রিলে ভোরবেলার দিকে ২৭-২৮ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা থাকে সাধারণত।
এদিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্তত ১০টি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। নতুন করে বৃষ্টির মেঘ ঘনিয়েছে শহরের আকাশে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দু’দিন হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায়। সঙ্গে সকালের দিকে প্রায় সব জেলাতেই ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিন চারেক পরেই বড়দিন। ২৫ ডিসেম্বরেও কি কলকাতার আকাশে বৃষ্টির মেঘ ঘোরাফেরা করবে? বড়দিনে চেনা শীতের আমেজ কি পাওয়া যাবে না? যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর জানিয়েছে, আপাতত শুক্রবার এবং শনিবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার সামান্য ভিজতে পারে পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানও। কলকাতা-সহ বাকি জেলাগুলিতে শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। বড়দিন, অর্থাৎ আগামী বুধবার এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনার কথা জানানো হয়নি।
বছর শেষ হতে হাতে আর দিন দশেক মাত্র। পার্ক স্ট্রিট আলোতে রঙিন। উৎসব আসছে বলে মানুষ বাড়ি বসে থাকতে মোটেও রাজি নয়। শহর ও আশাপাশের জেলা থেকে ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা, ময়দান, জাদুঘরে আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। সর্বত্র ভিড়। কিন্তু গরমের কারণে ঘুরতে প্রবল অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার বারাসত থেকে সপরিবারে কলকাতায় এসেছিলেন সুবিমল বিশ্বাস। বললেন, ‘দিন কয়েক আগেও বেশ ঠান্ডা। ভালোই ঘুরছিলাম। আজ তো ভিক্টোরিয়া থেকে ময়দান পর্যন্ত হেঁঠে আসতেই গলদঘর্ম হয়ে গেলাম। মাথায় টুপি রাখতে চাইছে না বাচ্চারা।’ কপালে ঘামের বিন্দু ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আইসক্রিমের দিকে চোখ খুদেদের। নিউ মার্কেটের এক আইসক্রিম বিক্রেতা বললেন, ‘গরম পড়লে আমাদের ব্যবসা বাড়ে। কাল থেকে বেশ গরম পড়েছে। ফলে বিক্রিও বেড়েছে। মাঝখানে কয়েকদিন বিক্রি একেবারে কমে গিয়েছিল।’