পূর্ব কলকাতা জলাভূমির হাল ফিরছে, মিলছে প্রমাণ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্য সরকার এবং আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিফরি)পূর্ব কলকাতার জলাভূমি পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নিয়েছে। সাফল্যও মিলেছে সরকারি উদ্যোগে।
পূর্ব কলকাতা জলাভূমি রক্ষার জন্য বহুদিন ধরে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে রাজ্য সরকারের পরিবেশ দপ্তরের অনুদানে পুনরুজ্জীবনের একটি বিশেষ প্রকল্পের কাজ চলছে। সহযোগিতায় রয়েছে সিফরি, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও মৎস্য দপ্তর। ওই প্রকল্পকে সামনে রেখে গত ৬ ডিসেম্বর সল্টলেকের নলবনে একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সিফরি, রাজ্যের পরিবেশ দপ্তর, মৎস্য দপ্তর, কৃষি বিভাগ, উদ্যানপালন দপ্তর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেখানেই পূর্ব কলকাতা জলাভূমি নিয়ে জিআইএস পদ্ধতিতে তৈরি করা ভৌগোলিক নকশা প্রদর্শন করে সিফরি। তাঁদের বিজ্ঞানীরাই এটি বানিয়েছেন। বিগত বছরগুলিতে জলাভূমি কতটা ছিল, ধীরে ধীরে কতটা জলাভূমি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে, দেখানো হয় ওই কর্মশালায়। সেখানে বলা হয়েছে, ২০০০ সালে পূর্ব কলকাতা জলাভূমির মোট আয়তন ছিল ৪৪৪২ হেক্টর। ২০১২ সালে আরও ৭৭০ হেক্টর এলাকার জলাভূমি পুনরুজ্জীবিত হয়। জলাভূমির মোট আয়তন দাঁড়ায় ৫২১২ হেক্টর। ২০২৪ সালে শেষতম সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আরও ৮৬২ হেক্টর পুনরুজ্জীবিত হয়ে জলাভূমির মোট আয়তন দাঁড়িয়েছে ৬০৭৪ হেক্টর। অর্থাৎ, গত ১২ বছরে প্রায় এক হাজার হেক্টর জলাভূমি পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিস্তীর্ণ এই জলাভূমির উপর প্রায় ২ লক্ষ মানুষের জীবিকা নির্ভর করে বিভিন্নভাবে। তাই পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে জলাভূমির বিভিন্ন অংশের জল, মাটি, শ্যাওলা ইত্যাদির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব উপাদানের গুণগত মান পরীক্ষা করা হচ্ছে।