ফুলে ফেঁপে উঠেছে বিজেপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার লোকসভা নির্বাচনে ২৪০ আসনেই থমকে যায় নরেন্দ্র মোদীর জয়রথ। কিন্তু তার কোনও প্রভাব অবশ্য পড়েনি দলের তহবিলে। বরং ভোটের বছরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে বিজেপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। শুধু অনুদান হিসেবেই জমা পড়েছে ২ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা! বিগত আর্থিক বছরের তুলনায় যা প্রায় তিনগুণ। তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই হিসেবনিকেশে ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনী বন্ডের চাঁদাকে ধরা হয়নি। এটি শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি অনুদান দিয়েছে যে সব ব্যক্তি, ট্রাস্ট বা কর্পোরেট সংস্থা, সেই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান।
স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির এই ‘অনুদান’ নামক টাকার মেশিন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। কারণ, মোট অনুদানের ৫০ শতাংশেরও বেশি পেয়েছে মোদির দল। চাঁদার এই তথ্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে বিজেপির সঙ্গে পুঁজিপতিদের যোগসাজশ— সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর সাফ কথা, ‘পুঁজিপতিদের থেকে টাকা আদায় করতেই নির্বাচনী বন্ড এনেছিলেন অরুণ জেটলি। সুপ্রিম কোর্ট অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তা বাতিল করে দিয়েছে। তারপরও বিজেপি এত বিপুল পরিমাণ টাকা পেয়েছে। এই ট্রেন্ড মোটেই ভালো নয়।’
সত্যি সত্যিই ব্যক্তি, ট্রাস্ট ও কর্পোরেট সংস্থা থেকে আয়ের নিরিখে বিজেপির ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি বিরোধী কোনও দল। প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের তহবিলে এসেছে মাত্র ২৮৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। অনুদানের অঙ্কে রাহুল গান্ধীর দলকে অবশ্য হারিয়ে দিয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি। তালিকায় বিজেপির ঠিক পরেই তারা। তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে সি আরের দলের অ্যাকাউন্টে চাঁদা জমা পড়েছে ৫৮০ কোটি টাকা।