মেলবোর্নে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ভারতকে ফলো-অনের লজ্জা থেকে বাঁচালেন নীতীশ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৪ রানের বোঝায় যখন তৃতীয় দিনের শুরুতে ধুকতে শুরু করেছিল ভারত, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বিশাখাপত্তনমের নীতীশ রেড্ডি। প্রথম একাদশে তাঁকে রাখা নিয়ে বিশ্লেষকদের ভিন্ন মত অব্যাহত। কিন্তু বর্ডার গাভাসকর সিরিজে নিজেকে প্রমাণ করতে কোনও খামতি রাখেননি তিনি। ঋষভ পন্থ এবং রবীন্দ্র জাদেজার মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেটের পতনের পর দলকে অক্সিজেন জুগিয়ে চললেন নীতীশ। সাত উইকেট ২২১ রান থেকে স্টার্ক, কামিন্স, লিয়ন, বোলান্ডদের সামলে স্কোরবোর্ডে একশোর বেশি রান যোগ করলেন। আর ১৮১ বলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে দলকে লড়াইয়ের মতো জায়গায় পৌঁছে দেন তিনি।
শনিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নীতিশ রেড্ডি যে ইনিংসটা খেললেন, সেটা ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে অবশ্যই লেখা থাকবে। ২০০১ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং রাহুল দ্রাবিড় যে ইনিংসটা খেলেছিলেন, ২০২১ সালে গাব্বায় ঋষভ পন্থ যে ইনিংসটা খেলেছিলেন, নীতিশের এই ইনিংসটা তার থেকে কোনও অংশে কম নয়। ১৭১ বলে তিনি শতরান করলেন। বিশাখাপত্তনমের ২১ বছর বয়সি এই তরুণ ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে প্রথম শতরান করলেন। সেইসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে তিনি ফলো-অনের লজ্জা থেকে রক্ষা করলেন।
আজ একটা সময়ে ঋষভ পন্ত, রবীন্দ্র জাদেজার উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। মেলবোর্নে প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দল ২২১ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। তার পরেই ওয়াশিংটন সুন্দরকে সঙ্গে নিয়ে পালটা লড়াই শুরু করেন নীতীশ। তৃতীয় দিনের চায়ের বিরতির আগেই ১০০ রানের পার্টনারশিপ পূর্ণ করেন দু’জনে। শেষমেশ দলগত ৩৪৮ রানের মাথায় আউট হন ওয়াশিংটন সুন্দর। নীতীশ অবশ্য এখনও অপরাজিত আছেন। মেলবোর্নে অষ্টম উইকেটের জুটিতে সুন্দর ও নীতীশ যোগ করেন ১২৭ রান। নীতীশ ১৭৬ বলে ১০৫ রানে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রিজে। তাঁর স্ট্রাইকরেট ৫৯.৬৬। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১০টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কা।
অস্ট্রেলিয়া: ৪৭৪/১০ ( স্মিথ-১৪০)
ভারত: ৩৫৮/৯ (যশস্বী-৮২, রেড্ডি-১০৫*, সুন্দর-৫০)
তৃতীয় দিনের শেষে ভারত পিছিয়ে ১১৬ রানে