RAC নিয়ে দুশ্চিন্তা? রেলের নিয়ম জেনে রাখুন, ট্রেন সফরে উপকার হবে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সব সময় ট্রেনে রিজার্ভেশন পাওয়া যায় না। আরএসি সিট পান যাত্রীরা। সফর নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। আরএসি টিকিট নিয়েও নিশ্চিন্তে যাত্রা করা যায়। রাতে শুতেও কোনও অসুবিধা হবে না। রেলের বেশ কিছু নিয়মও রয়েছে। সেগুলো জেনে রাখা দরকার। ধরা যাক, সাইড লোয়ারে দু’জন আরএসি যাত্রী বসে আছেন। যদি সাইড আপারের কোনও যাত্রী তাঁদের সিটে বসতে চান, তাহলে তাঁরা অনুমতি নাও দিতে পারেন। হ্যাঁ, আরএসি সিটের যাত্রী হলেও তা সম্ভব।
আরএসি সিটে দু’জনকে বসানো হয়। দিনে তাঁরা বসে যাত্রা করতে পারেন, রাতে শুতেও অসুবিধা নেই। সাইড আপার সিটের কোনও যাত্রী দিনে লোয়ার সিটে বসতে পারেন। কিন্তু রাতে ঘুমনোর সময় তাঁকে সিট খালি করে দিতে হবে। রেল ম্যানুয়াল অনুযায়ী, রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ট্রেনে ঘুমনোর সময়। এই সময়ে সাইড আপার সিটের যাত্রী লোয়ার সিটে বসতে পারবেন না। তিনি যদি জেদ ধরে বসে থাকেন, তাহলে টিটিইর কাছে অভিযোগ জানানো যায়। টিটিই তাঁকে সিট থেকে তুলে দেবেন।
উল্লেখ্য, আরএসি হল রিজার্ভেশন এগেইনস্ট ক্যানসেলেশন। যাত্রাকালে যদি কোনও যাত্রীর টিকিট ক্যানসেল তাহলে আরএসি যাত্রীর টিকিট কনফার্ম হয়ে যাবে। যতক্ষণ না তা হচ্ছে, ততক্ষণ সাইড লোয়ারের অর্ধেক সিটে বসে যাত্রা করতে হবে। সাধারণত আরএসি সিট দু’জনকে দেওয়া হয়। কোনও যাত্রী তাঁর কনফার্ম টিকিট ক্যানসেল করেন, তাহলে আরএসিতে থাকা প্রথম যাত্রী কনফার্ম সিট পেয়ে যান। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় যাত্রী আরএসি-র পুরো সিটে যাত্রা করতে পারেন।
একটি কোচে ১২ থেকে ১৪ জন যাত্রীকে আরএসি দেওয়া হয়। থার্ড এসি এবং স্লিপারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোচের বার্থ সংখ্যার উপরে সব নির্ভর করে। আইসিএফ কোচ আকারে ছোট হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে বার্থ সংখ্যাও কম থাকে। অন্যদিকে, এলএইচবি কোচ বড় হয়। বার্থও বেশি থাকে। গড়ে প্রত্যেক কোচে ৬ থেকে ৭টি বার্থ আরএসি-র জন্য রাখা থাকে।