পদ্মজা নায়ডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কে চালু হল স্কেলিটন মিউজিয়াম
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এডুকেশনাল টুরিজম অঙ্গ হিসাবো দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নায়ডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কে চালু হল ‘স্কেলিটন মিউজিয়াম’। রাজ্যের বনমন্ত্রী ওই মিউজিয়াম উদ্বোধন করেন। এতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে পাশাপাশি উপকৃত হবেন পড়ুয়া ও গবেষকরা। এডুকেশনাল ট্যুরিজমের উন্নয়ন ঘটবে। পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কের ডিরেক্টরের মতে, মিউজিয়ামে বিভিন্ন পশুর কঙ্কাল এবং সেই সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। পড়ুয়া ও গবেষকরা লাভবান হবেন।
কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে স্কেলিটন মিউজিয়াম ছিল। দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় বাংলার দ্বিতীয় স্কেলিটন মিউজিয়াম চালু হল। বিভিন্ন লুপ্তপ্রায় প্রাণীর কঙ্কাল রাখা হয়েছে সেখানে। গন্ডার, রেড পান্ডা, স্নো লেপার্ড, গরাল, এশিয়াটিক ব্ল্যাক বিয়ার, বনবিড়াল, স্লো লরিস, ইন্ডিয়ান রক পাইথন, ব্লু শিপ-সহ অন্য পশুর কঙ্কাল রাখা হয়েছে। এতদিন চিড়িয়াখানার একটি মিউজিয়ামে একসঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী, কীটপতঙ্গের পাশাপাশি পশুদের কঙ্কাল রাখা হত। ২০১৬ সালে সেই মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়। এবার বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের কঙ্কাল সংরক্ষণের জন্য পৃথক মিউজিয়াম হল।
জানা গিয়েছে, গত ছ-সাত মাসে যে কয়েকটি বন্যপ্রাণের কঙ্কাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। ক্রমশ কঙ্কালের সংখ্যা বাড়বে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাত হাজার ফুট উপরে অবস্থিত পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক দেশের সেরা চিড়িয়াখানাগুলির মধ্যে একটি। এবার স্কেলিটন মিউজিয়াম চালু হওয়ায় চিড়িয়াখানার আকর্ষণ আরও বাড়বে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ।