শেষ হল পৌষমেলা, খুশি বোলপুর-শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও আশ্রমিকরা
নিউজ ডেস্ক দৃষ্টিভঙ্গি: রীতি মেনেই শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা শেষ হয়ে গেল শনিবার। এবার ভাঙামেলা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন। ২০১৯ সালের পর ফের পৌষমেলার আয়োজন করল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ২৩ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয়েছিল মেলার। শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর শেষ দিনেও পর্যটক ও স্থানীয়দের ভিড় ছিল মেলায়। শনিবার রাত ১২টার পর মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
ছ’দিনই ভিড় হওয়ায় খুশি হস্তশিল্পী থেকে ব্যবসায়ী, হোটেল, রিসর্ট মালিকরা। শেষ দু’দিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা হওয়ায় কিছুটা হলেও মেলার তাল কেটেছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ-প্রশাসনকেও।
মেলা শেষ করা, মাঠ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন-সহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে জরুরি বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, উপাচার্য বিনয়কুমার সোরেন, জেলার সভাধিপতি কাজল শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায়, বোলপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রিকি আগরওয়াল সহ মেলার উপসমিতির সদস্য, ব্যবসায়ী সমিতি ও হস্তশিল্প সমিতির সদস্যরা।
ছয় দিনের মেলায় প্রায় সাত লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, সাড়ে পাঁচশো জনকে বিভিন্ন অভিযোগে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর ২৫০ জনকে বিভিন্ন মামলা দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই মেলার যাবতীয় খুঁটিনাটি রিপোর্ট জমা করতে হবে জাতীয় পরিবেশ আদালতে। পূর্বপল্লীর মাঠে মেলা ফিরে আসায় প্রবীণ আশ্রমিক থেকে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা, হস্তশিল্পী ব্যবসায়ীরা সকলেই খুশি।