চিড়িয়াখানায় বছরের শেষ রবিবারের ভিড় টেক্কা দিল বড়দিনকেও
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: প্রতি বছর শীতে বড়দিনে ব্যাপক ভিড় হয় আলিপুর চিড়িয়াখানায়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুরা আলিপুর চিড়িয়াখানায় জীবজন্তু দেখতে আসে। এবারও তার অন্যথা হয়নি৷
বড়দিনের ভিড়কে যে টেক্কা দিতে চলেছে বছরের শেষ রবিবারের ভিড়, তা আপাত চোখেই বোঝা গিয়েছিল। অনলাইন টিকিট কাউন্টারের সামনে তিলধারণের জায়গা নেই। নগদে কেনা টিকিটের লাইন আরও দীর্ঘ। তা ঠেলেঠুলে ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল জনসমুদ্র। সবুজে ঘেরা চিড়িয়াখানা শুধু কালো মাথা আর রং-বেরঙের জামাকাপড়ের দখলে।
বিকেলে গেট বন্ধের পর আলিপুর পশুশালা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদিন চলতি মরশুমে রেকর্ড ভিড় হয়েছে। এদিন প্রায় এক লক্ষ পর্যটক সমাগম হয়েছে। গত বুধবার ছিল বড়দিন। সেদিন সকাল থেকে আকাশের মুখ ছিল ভার। তাই অনেকেই সেদিন চিড়িয়াখানার প্ল্যান বদলে শেষ রবিবারকেই টার্গেট করেছিলেন। সকাল ৯টায় চিড়িয়াখানার গেট খোলে। ভিড় জমতে শুরু করে সকাল ৮টার পর থেকেই। আগেভাগে সামনের মাঠে চাদর পেতে জায়গা দখল করাই ছিল পর্যটকদের প্রাথমিক টার্গেট।
বেলা বাড়তেই চিড়িয়াখানায় ঠাঁই নেই অবস্থা। মাঠে জায়গা না পেয়ে লেকের ধারে কংক্রিটের ফুটপাতেই বসে পড়লেন অনেকে। পশুপাখি দর্শনের মাঝে মাঝেই চলল খাওয়া দাওয়া। লাঞ্চ সেরে ফের একপ্রস্থ চলল খাঁচায় উঁকি মারা। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও এশিয়ান সিংহের খাঁচার বাইরে। তার কারণ এই দুই পশু পর্যটকদের উৎসাহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেদার গলা ছেড়েছিল এদিন। এত মানুষ দেখে তারাও বোধহয় উৎসাহিত। শীতের দুপুরে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিটি গর্জনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হইহই করছে কচিকাঁচারা। বেজায় খুশি তারা।
কম যায় না হাতিও। দুই হাতিই ধুলো আর কাঠের গুঁড়ি নিয়ে খেলাধুলোয় ব্যস্ত। সেই খেলার ছবি মুঠোফোন বন্দি করতে দেরি করলেন না কেউ-ই। খাঁচার সীমানার কাছাকাছি চলে আসায় সেলফি তুললেন অনেকেই। চলল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। এছাড়া অন্যতম আকর্ষণ ছিল ওয়াক ইন বার্ড অ্যাভিয়ারিও।