রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বিজেপি’র সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ব্যর্থতার দায় শুভেন্দুর উপর চাপাচ্ছে দলের একাংশ

December 31, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিকে দলের সদস্য সংখ্যা আরও কিছু বাড়ানোর জন্য ‘গ্রেস পিরিয়ড’ দিচ্ছে সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। দফায় দফায় এই অভিযানের শেষ সময়সীমা বৃদ্ধি করেও লাভের লাভ হচ্ছে না। নভেম্বর ও ডিসেম্বর দুই পর্বে এই কর্মসূচি শেষ করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে পায়ে ধরে তা বৃদ্ধি করা গিয়েছিল।

শনিবার সল্টলেক পার্টি অফিসে রাজ্য ইউনিটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসাল। বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা সদস্য অভিযান ঘিরে এই ঢিলেমিতে বঙ্গ নেতৃত্বকে একহাত নিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার প্রমুখ। উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বঙ্গ বিজেপিকে চলতি সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নির্দিষ্ট টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন। সর্বভারতীয় বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বাংলা থেকে ১ কোটি বিজেপির সদস্য করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার অর্ধেক মেম্বারশিপ করাতে পারেনি সুকান্ত মজুমদাররা। ধারাবাহিক দুর্নীতির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাপাদাপি সত্ত্বেও ভোটের রাজনীতিতে তৃণমূলের কাছে কল্কে পাচ্ছে না গেরুয়া পার্টি।

শেষ বিধানসভা উপনির্বাচনে ছ’টি আসনের সবক’টিতেই হেরেছে বিজেপি। স্বভাবতই বাংলায় পদ্ম শিবিরের সদস্য হওয়ার ঝোঁক ক্রমেই কমছে। হাতে কলমে যার প্রমাণ মিলছে পার্টির মেম্বারশিপ ড্রাইভে। দলীয় সূত্রের খবর, ছোট-বড় স্থানীয় নেতারা মেম্বারশিপ করাতে গিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। দলের ৬৬ জন বিধায়ক এবং এক ডজনের বেশি এমপি’র ভূমিকা নিয়ে দিল্লির নেতাদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। বিধায়কদের নিজের এলাকায় আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও, কাজের কাজ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে পার্টির ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীর একাংশ সরাসরি বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে মেম্বারশিপ কর্মসূচিতে বিজেপি বিধায়কদের পিছিয়ে থাকার দায় নেওয়ার দাবি উঠছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#suvendu adhikari, #membership drive, #West Bengal, #bjp

আরো দেখুন