ডাক্তাররা গ্রামে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা দিতে না গেলে বেতন বন্ধ করবে সরকার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নতুন বছরে নয়া রেজল্যুশনের মতো চুক্তিভিত্তিক এসআর’রা (সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার) যদি গ্রামে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা দিতে না যান, তাঁদের বেতনই বন্ধ হয়ে যাবে। নবান্নের নির্দেশে গত ২৩ ডিসেম্বর এই মর্মে আদেশনামা জারি করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। তাতে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাউন্ট অফিসারদের উদ্দেশে সাফ বলা হয়েছে, ‘জেলা, মহকুমা, স্টেট জেনারেল বা গ্রামীণ হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ে বন্ড সার্ভিসের চিকিৎসকরা না গেলে তাঁদের ভাতা বন্ধ করে দিতে হবে।’ অর্থাৎ, বন্ড সার্ভিসের তিন বছর এসআর’রা মাসে ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার টাকা করে যে ভাতা পান, তা বন্ধ হয়ে যাবে।
নিয়ম হল, সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের প্রথম বছর নিজের কলেজ বা যে কোনও মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হয়। পরের দু’বছর সরকারের নির্দেশিত জেলা, মহকুমা বা গ্রামীণ হাসপাতালে পরিষেবা দিতে বাধ্য থাকেন এই শ্রেণির চিকিৎসকরা। অথচ, তাঁদের একটা অংশ নিজের কলেজে প্রথম বছর কাটানোর পর আর শহরের বাইরের হাসপাতালে যেতে চান না। বাকি সময়টা চুপটি করে তাঁরা নিজের কলেজে কাটিয়ে দেন। এই ‘অনিয়মে’র গোড়াতেই ঘা দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই অর্ডার জারি হওয়ায় কিছুতেই আর গ্রাম বা মহকুমা এলাকার রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রাখতে পারবেন না তাঁরা। স্বাস্থ্যদপ্তর কিন্তু জানাচ্ছে, নিয়ম আগেই ছিল। কাজে ‘ফাঁকি’ রুখতে এবং জনস্বার্থে আরও বেশি কঠোর হতে হল নবান্নকে।
এমডি-এমএস পাশের পর স্বাস্থ্যদপ্তরের অধীনে কর্মরত সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংখ্যা ১ হাজার ১০০’র বেশি। তাঁদের ক্ষেত্রেই নয়া আদেশনামা কার্যকর হচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে, এরপর এসআর’রা বন্ড সার্ভিসের নিয়ম মতো জনস্বার্থে গ্রামে না গেলে ভাতা বন্ধ তো হবেই। পাশাপাশি, যেসব মেডিক্যাল কলেজে তাঁরা পড়ছেন, সেখানকার অধ্যক্ষ- উপাধ্যক্ষরাও শাস্তির মুখে পড়তে পারেন। কারণ, কলেজ জানবে না, অথচ তাঁরা নিয়মকে কাঁচকলা দেখিয়ে বছর বছর সেখানে থেকে যাবেন, এমনটা হওয়া অসম্ভব!