তামিলনাড়ুতে ‘স্ক্রাব টাইফাস’ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ব্যাকটেরিায়াজনিত রোগের মধ্যে অন্যতম একটি রোগ হলো ‘স্ক্রাব টাইফাস’। এ জ্বরের সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে রোগী জীবন প্রদীপ নিভে যেতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তামিলনাড়ুতে ‘স্ক্রাব টাইফাস’ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
এই রোগ প্রথম ১৯৩০ সালে জাপানে দেখা গিয়েছিল। এটি একটি বিশেষ ধরনের টাইফাস রোগ যা পরজীবী অরিয়েন্টিয়া সুডসুগামুশির কারণে হয়। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে সময়ে সময়ে এই রোগ দেখা গেছে। রিকেটসিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত পরজীবীরা যদি কাউকে কামড়ায়, তাহলে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে। এমনকি কিছু সময়ে পোকামাকড়ও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং সেগুলো কামড়ালে স্ক্রাব টাইফাস হতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে তামিলনাড়ুতে এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক বর্ষা এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার পর RSV এবং Covid-19 এর মতো শ্বাসজনিত রোগ বাড়ার কথা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এমন অবস্থায় স্ক্রাব টাইফাস সংক্রমণও বাড়ছে।
এর সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ঠান্ডা লাগা, কাশি, জ্বর, শরীরে ব্যথা, নাক বন্ধ, মাথাব্যথা, হাঁচি, গলাব্যথা, চোখে জল পড়া, নাক থেকে গলা পর্যন্ত কফ জমা, স্বাদ এবং ঘ্রাণ হারানো। কিছু ক্ষেত্রে শরীরে দাগ, ফুলে যাওয়া লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে কৃষক, জঙ্গল বা বনাঞ্চলে বসবাসকারী, পাহাড়ে অভিযানকারী, গর্ভবতী নারী, এবং পোকামাকড়ের কামড়ের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। এই রোগ ELISA রক্ত পরীক্ষা এবং মলিকুলার পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়।
এই রোগের চিকিৎসার জন্য অ্যাজিথ্রোমাইসিন এবং ডক্সিসাইক্লিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস এবং কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ক্ষতি হলে, রোগীকে তরল ওষুধের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা দিতে হয়।