প্রতারণার নয়া ফাঁদ, ব্যালেন্স চেক করলেই টাকা উধাও! কীভাবে থাকবেন সতর্ক?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার নতুন নতুন ফাঁদ। প্রতারকরা নিত্যদিন ভিন্ন রকমের প্রতারণার ফাঁদ তৈরি যাচ্ছে। নতুন প্রতারণার ফাঁদ আমদানি হয়েছে, যার নাম হচ্ছে “জাম্পড ডিপোজিট স্ক্যাম”।
ব্যালেন্স চেক করতে গেলেই উধাও হবে টাকা। প্রতারকরা এবার সরাসরি টাকা পাঠাচ্ছে। অ্যাকাউন্ট চেক করতে গেলে টাকা গায়েব করছে প্রতারকরা। এমনই সমস্যার মুখে পড়েছেন বহু গ্রাহক। টাকা ক্রেডিট হয়েছে দেখে কৌতূহলের বশে ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে এমন নতুন প্রতারণার শিকার হওয়ার নাম “জাম্পড ডিপোজিট স্ক্যাম”।
সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতারকরা অভিনব কায়দায় এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। অধিকাংশ মানুষই এখন ডিজিটাল লেনদেনের উপর নির্ভর করেন। ইউপিআই অ্যাপ বা মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপ ব্যবহার করেন। একেই কাজে লাগাচ্ছে প্রতারকেরা। জাম্পড ডিপোজিট স্ক্যামের মাধ্যমে প্রতারকরা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ১ থেকে ২ হাজার টাকা পাঠাচ্ছে। এটাই কারসাজি।
প্রতারকরা ১ থেকে ২ হাজার টাকা পাঠাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে উইথড্রল রিকোয়েস্টও পাঠিয়ে রাখছে। টাকা ক্রেডিট হয়েছে এমন মেসেজ মোবাইলে ঢোকার পর সকলে একটু অবাক হয়ে যান। গ্রাহকরা নিজের ব্যালেন্স চেক করেন। অনলাইন অ্যাপগুলিতে ব্যালেন্স চেক করতে গেলে পিন নম্বর দিতে হয়। জানা যাচ্ছে, পিন নম্বর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হতে শুরু হচ্ছে। উইথড্রল রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে রাখার জন্যই স্ক্যামের শিকার হচ্ছেন মানুষ।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই স্ক্যামের হাত থেকে বাঁচার উপায় রয়েছে। অ্যাকাউন্টে টাকা ক্রেডিট হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপ খুলে ব্যালেন্স চেক করবেন না। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে যান, তারপর চেক করুন। এমনকি প্রথমবার অ্যাপ খোলার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল পিন দিতে হবে। এতে উইথড্রল রিকোয়েস্ট বাতিল হয়ে যায়। আরও কিছুক্ষণ পর আসল পিন নম্বর দিয়ে চেক করা যেতে পারে। এতে প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে যাবেন সাধারণ মানুষ।