আবারও পক্ককেশের ছায়া CPI(M)-এ, দলের জেলা সম্মেলনের খসড়া প্রতিবেদনে কোন প্রবণতার ইঙ্গিত?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বামেদের সর্ববৃহৎ শরিক সিপিএম বারবার দাবি করে এসেছে, তাদের দল নাকি তরুণ-তরুণীদের দল। তারুণ্যে ভরপুর! সিপিএম মানেই নাকি শিক্ষিত তরুণদের ভিড়! বাস্তবটা কী? দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে। লাল পার্টির ২৬তম কলকাতা জেলা সম্মেলনের খসড়া প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সালে প্লেনামের সময় পার্টিতে ৩১ বছরের নীচে সদস্য ছিল ৪.৬ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে এসেছে ৪.৩ শতাংশে। তবে কি পক্বকেশের ছায়া থেকে আজও বেরতে পারেনি সিপিএম?
সোশ্যাল মিডিয়ায় সিপিএম মানেই উজান আর ভোটে মরা গাঙের ভাটা! সদস্য সংখ্যা বাড়বে কীভাবে? পার্টি কর্মী-সমর্থকদের একাংশ প্রশ্ন তুলছে। দলের মহিলা সদস্যের সংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কলকাতা জেলার খসড়া প্রতিবেদনে। দলে তরুণদের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা জেলা সম্মেলন। তা চলবে সোমবার পর্যন্ত।
৩১ বছরের নীচে যেসব সদস্য রয়েছেন দলে, তাঁদের বড় অংশই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিনিধি। পার্টি সদস্যদের মধ্যে শ্রমিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব কম। ২৩তম পার্টি কংগ্রেসে তরুণদের বেশি করে দলের সদস্য করার কথা বলা হয়েছিল। দলের সাংগঠনিক প্রতিবেদন স্পষ্ট হয়েছে তরুণদের কাছে টানতে পারেনি লাল পার্টি। খসড়াতে সাফ বলা হয়েছে, তরুণ সদস্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে ৩১ বছরের কম বয়সের মাত্র ৪৬ জনকে প্রার্থী সদস্যপদ, যার পর দলের সদস্যপদ দেওয়া হয় তা দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে সংখ্যাটা ছিল ১৪০, ২০২২ সালে ছিল ৯৩। যার পর প্রার্থী সদস্যপদ দেওয়া হয়, অর্থাৎ এজি-র ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২০২৩ সালে ছিল মাত্র ৬১জন, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ছিল যথাক্রমে ৩৮০ ও ১৩৩ জন।