ফেব্রুয়ারিতেই দেউচা-পাচামি কয়ালাখনি প্রকল্পে খনন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: খুব শীঘ্রই দেউচা-পাচামি কয়লাখনি প্রকল্পের উদ্বোধন হতে চলছে বলে পুজোর আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খনি এলাকার জমি সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠকে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মূখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর শুক্রবার বীরভূমের মহম্মদ বাজার ব্লক অফিসে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকের পর এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, ডিজি রাজীব কুমার, পিডিসিএল-এর এমডি পিবি সেলিম, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিস সুপার রাজনারায়ন মুখোপাধ্যায়, রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সভাধিপতি কাজল শেখ সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এই প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখ নাগাদ দেউচা-পাচামিতে খনন কাজ শুরু হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে মহম্মদবাজারের চাঁদা মৌজায় সরকারি ১২ একর জমিতে এই খনন কাজ শুরু হবে। সেখানে প্রথমে ব্যাসাল্ট মাইনিংয়ের কাজ শুরু হবে। কারন মাটির নীচে কয়লা রয়েছে অনেকখানি গভীরে। সেই কয়লা অবধি পৌঁছতে উপরের কালো শক্ত পাথরস্তর তোলা হবে। এখানে প্রায় ১.২ বিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা মুজত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে শুরু হবে ব্যাসাল্ট মাইনিংয়ের কাজ। যেহেতু কয়লাস্তর অনেক নীচে রয়েছে, তাই ভৌগোলিক পরামর্শদাতাদের কথা মেনে ওই একই জায়গায় খনি খোঁড়ার কাজ শুরু হবে।