জলপাইগুড়িতে প্রথম শুরু হচ্ছে পেইড পার্কিং জোন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জলপাইগুড়ি পুরসভার ১৫৭ বছরের ইতিহাসে প্রথম বারের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হল পেইড পার্কিং জোনের। শুক্রবার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল, ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ পুরসভার আধিকারিকরা শহরে পেইড পার্কিং জোন চিহ্নিত করতে রাস্তায় নামেন। কোতোয়ালি থানা মোড়ের কাছে মার্চেন্ট রোড থেকে ওই পার্কিং জোন চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়। পেইড পার্কিংজোনগুলিতে এদিনই বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাইক, স্কুটারের জন্য ঘণ্টায় পাঁচ টাকা এবং সাইকেলের জন্য ঘণ্টায় দু’টাকা পার্কিং ফি ধার্য করা হয়েছে।
ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, গোটা জলপাইগুড়ি শহরকে ১৬টি জোনে ভাগ করে পেইড পার্কিং ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। সোমবার থেকে পার্কিং ফি আদায় করা হবে। যানজট কমাতে শহরের মার্চেন্ট রোড, ডিবিসি রোড, সমাজপাড়া মোড়, কদমতলা এলাকায় পার্কিংয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। টোটোর ব্যাপারেও পুরসভা শীঘ্রই পদক্ষেপ নেবে। চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ শুরু করেছে পুরসভা। একইসঙ্গে যানজট সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যস্ত রাস্তায় অনেকেই ইচ্ছেমতো বাইক, গাড়ি রেখে চলে যান। এটা বন্ধ করতেই পেইড পার্কিংজোন চালু করা হচ্ছে।
ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, সমাজপাড়ায় করলা নদীর ধারে গাড়ি রাখার জন্য পেইড পার্কিংজোন চালু হচ্ছে। অনেকে বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে এসে তা রেখে বাসে শিলিগুড়ি বা ডুয়ার্সে যান। তাঁদের বাইক রাখার জন্য আমরা কদমতলা এলাকায় লিজে জমি পেয়েছি। সেখানে বড় পার্কিং জোন হচ্ছে। শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলিতে সপ্তাহের তিন দিন বাঁদিকে এবং তিন দিন ডানদিকে পার্কিংজোন হবে। রবিবার শহরে যানজট কম থাকে। ফলে সেদিন কাউকে পার্কিং ফি দিতে হবে না। যদিও পুরসভার তরফে এই পেইড পার্কিং চালু নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অনেকেরই অভিযোগ, মার্চেন্ট রোড, ডিবিসি রোডে এমনিতেই হাঁটা যায় না। তার উপর পার্কিংজোন তৈরি হলে ওইসব রাস্তায় আরও যানজট বাড়বে।