যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে ভূলুণ্ঠিত ইতিহাস, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ‘মুবারক মঞ্জিল’
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বার বার অভিযোগ ওঠে, মোদী আমলে দেশে লাগাতার আক্রমণের শিকার হচ্ছে ঐতিহাসিক নিদর্শন। মূলত মুসলমান ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্থাপত্যদের উপরেই নেমে আসছে আক্রমণ। এবার ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ঔরঙ্গজেবের বাসভবন ‘মুবারক মঞ্জিল’। উত্তরপ্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ তিনশো বছরের বেশি প্রাচীন এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যকে মাস তিনেক আগে সংরক্ষণযোগ্য স্থাপত্যের তালিকাভুক্ত করেছিল। যাকে এখন কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়েছে। ব্রিটিশ ও মোঘল আমলের স্থাপত্যরীতির নিদর্শন ছিল এই মুবারক মঞ্জিল। এ ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন দেশের ঐতিহাসিকরা।
প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ভবনটিকে সংরক্ষণযোগ্য স্থাপত্যের তালিকাভুক্ত করার পর দিনকয়েক আগেই ভবনটি ঘুরে দেখেন সরকারি আধিকারিকরা। এরপরই ভবনটিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক নির্মাণ ব্যবসায়ী রয়েছে এই ধ্বংসলীলার নেপথ্যে। গাড়িতে করে করে ভবনের সব ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলা হয়। স্থানীয়দের দাবি, ভবনের ৭০ শতাংশ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। সূত্রের খবর, ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক ও রাজস্ব বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলাশাসককে।
প্রসঙ্গত, এই ভবনে একদা বাস করেছেন শাহজহান, সুজা এবং ঔরঙ্গজেব। সমুদ্রগড়ের যুদ্ধ জয়ের পর এই ভবন নির্মাণ করেন ঔরঙ্গজেব। ঐতিহাসিকদের মতে, যুদ্ধে জিতে দারাশিকোর ভবনটিকে মুবারক মঞ্জিল নাম দেন ঔরঙ্গজেব। লাল বেলেপাথরে তৈরি বাড়িটিকে পুনর্নির্মাণ করে সরকারি অফিস হিসেবে ব্যবহার করেছিল ব্রিটিশরা।