দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

আজ গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ থেকে সদ্য ছাড়া পাওয়া মৎসজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করবেন মমতা

January 6, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাগরমেলার প্রাক্কালে আজ, সোমবার গঙ্গাসাগরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কপিল মুনির মন্দিরে গিয়ে পুজো দেবেন তিনি। মোহন্ত জ্ঞানদাস মহারাজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে গঙ্গাসাগরকে অবহেলা করার জন্য কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন মোহন্ত জ্ঞানদাস মহারাজের উত্তরাধিকারী সঞ্জয় দাস মহারাজ। রবিবার তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্র সরকার দেশজুড়ে কত রাস্তা, সেতু তৈরি করছে কিন্তু সাগরদ্বীপকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সেতু তৈরি করছে না কেন? পি ভি নরসিমহা রাও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন গঙ্গাসাগরে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ শুরু হয়। সেটি আর এগয়নি। সঞ্জয় দাস মহারাজের সাফ কথা, গঙ্গাসাগরে যাবতীয় উন্নয়ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় করেছেন, কেন্দ্র কিছুই করেনি। তিনি আশাবাদী, আগামীতে মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরের জন্য আরও অনেক কিছু করবেন।

কপিল মুনি মন্দির পরিচালনা করে অযোধ্যার হনুমানগড়ি আশ্রম। কপিল মুনির সঙ্গে অযোধ্যার সম্পর্ক ছিল বলে জানান সঞ্জয় মহারাজ। অযোধ্যার বিষয়ে মোদী সরকার ব্যাপক তৎপর, কিন্তু গঙ্গাসাগর প্রতি তারা কেন ‘সৎ মায়ের’ মতো আচরণ করছে? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

গঙ্গাসাগরের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার সরব হয়েছেন। এই মেলার ‘জাতীয় মেলা’ স্বীকৃতি চান তিনি। গঙ্গাসাগর মেলাকে বিশেষ আর্থিক অনুদান দেওয়া উচিত বলেও তিনি জানান। এবারও প্রয়াগে পূর্ণকুম্ভ মেলার জন্য কেন্দ্র সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে। গঙ্গাসাগর বঞ্চিত। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সাগরদ্বীপের সংযোগকারী সেতু তৈরির কাজ রাজ্য সরকার করবে।

মেলা শুরু হওয়ার আগে থেকে গঙ্গাসাগরে ভিন রাজ্যের পুণ্যার্থীদের ভিড় শুরু হয়ে গিয়েছে। কাকদ্বীপের ৮ নম্বর লটে জেটিঘাটে লঞ্চে উঠতে লম্বা লাইনে পড়ছে। পুণ্যার্থীরা স্নান সেরে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। মেলা চত্বর আলোয় সেজে উঠেছে। চারিদিকে এখন থেকেই উৎসবের আবহ। কুম্ভমেলা হলেও গঙ্গাসাগরে ভিড় কম হবে না বলেই মনে করেন সঞ্জয় মহারাজ।

সরকারি উদ্যোগে কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। মন্দিরের সামনে ২ নম্বর রাস্তা যেখানে সমুদ্রে দিকে গিয়েছে, সেখানে ভাঙনের জন্য স্নান করা সম্ভব নয়। ৪ ও ৫ নম্বর রাস্তার দিকের সমুদ্র সৈকতে পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের জন্য দ্রুত রাস্তা তৈরির কাজ হচ্ছে। ছাউনি তৈরি হচ্ছে সাগর আরতির জন্য, মঞ্চ থেকে শুরু করে মানুষের থাকার জন্য বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। বাঁশের খুঁটি বসিয়ে সমুদ্র ভাঙনকে আটকানোর কাজ চলছে।

আজ দুপুরে গঙ্গাসাগরে পৌঁছনর পর হেলিপ্যাড মাঠে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশের জেলে কয়েকমাস বন্দি থাকা রাজ্যের ৯৫ জন মৎস্যজীবী, ছাড়া পেয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। তারপর পরিবারের সদস্যদের কাছে তাঁরা ফিরবেন। কপিল মুনির মন্দির ছাড়া আজ ভারত সেবাশ্রমে সঙ্ঘেও যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল, মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা ফেরার আগে প্রশাসনিক সভা করবেন। মূলত গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার জন্য কয়েকটি প্রকল্পেরও সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Gangasagar Mela, #Mamata Banerjee

আরো দেখুন