দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

জিনাতের পর বঙ্গের সীমানায় ফের দক্ষিণরায়ের আতঙ্ক, ওড়িশাকে কী প্রস্তাব মমতার?

January 7, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জিনাত সবে ফিরে গিয়েছে এরই মধ্যে বাংলার সীমানায় এসে হাজির আরও এক ‘দক্ষিণরায়’। নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যাকে নিয়ে। এ ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষুব্ধ। সোমবার গঙ্গাসাগরে এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ওড়িশার বনদপ্তর ও বনকর্মীদের নজরদারির পারদর্শীতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওড়িশার জঙ্গল থেকে কেন বার বার বাঘ বাংলায় চলে আসছে, তা নিয়ে ওড়িশার প্রশাসনের উপর বিরক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ওরা বাঘ ছেড়ে দেবে আর আমাদের এখানে মানুষ আতঙ্কে থাকবে, এটা চলবে না।” তিনি আরও বলেন, “এই দেখুন না, একটা বাঘ পাঁচটা জঙ্গল, পাঁচটা জেলা পেরল। পাঁচদিন আতঙ্কে ছিল। ছোটদের স্কুল বন্ধ ছিল। যেই আমরা আমাদের প্রশাসন ও বনবিভাগ সকলে মিলে উদ্ধার করলাম, ওমনি দিনরাত ফোন আসছে। ফেরত দাও। ফেরত দাও। ফেরত দাও। ফের একটা বাঘ চলে এসেছে।”

ওড়িশার বনদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন, “তোমরা তো তোমাদের জঙ্গলের খেয়াল রাখবে। যাতে তোমাদের বাঘ আমাদের এখানে না ঢুকে পড়ে। আমাদের গ্রামে আতঙ্ক না ছড়ায়। এমনিতেই হাতির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ওড়িশা সরকারকে বলব, বাঘ উদ্ধার করে নিয়ে যেতে। কারণ আগেরবার আমাদের লোকজন পাঁচদিন বাঘের আতঙ্কে ঘর থেকে বেরতে পারেনি। স্কুলপাঠ বন্ধ ছিল। তারপরেও যেভাবে বনকর্মীরা বাঘ ধরেছি, সেটা মডেল।” বিদ্রুপের সুরে ওড়িশা সরকারের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব, “বাঘ পাঠালে চিরকালের জন্য পাঠাক। আমরা রেখে দিচ্ছি। তোমাদের জায়গা না থাকলে, আমাদের টাইগার রেসকিউ সেন্টার রয়েছে, গভীর জঙ্গল রয়েছে। আমরা রেখে দিচ্ছি।”

বাংলার সীমান্তবর্তী ঝাড়খণ্ডের চাণ্ডিল ও দলমা এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ মেলায় গত কয়েকদিন ধরেই বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বনদপ্তরের দাবি, পায়ের ছাপ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। ইতিমধ্যে সে শিকারও করেছে। বাঘটির গলায় রেডিও কলার নেই। ফলে গতিবিধি ট্র্যাক করার উপায় নেই। সোমবার ভোরে ঝাড়খণ্ডের চাণ্ডিল থানার বালিডি জঙ্গল ছাড়িয়ে বাঘটি দলমা পাহাড়ের দিকে এগিয়েছে। চাষের জমিতে বাঘের পায়ের ছাপও পাওয়া গিয়েছে। বাঘটির বাংলায় ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা ক্রমশ প্রবল হচ্ছে।

ঝাড়খণ্ড সরকার এখনও বাংলার প্রশাসনের কাছে কোনওরকম সতর্কবার্তা পাঠায়নি। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে পুরুলিয়া জেলার বনদপ্তরের আধিকারিকরা সতর্ক রয়েছেন। পুরুলিয়া জেলায় রয়েছে ঝাড়খণ্ড সীমানা। মূলত পুরুলিয়া ও কংসাবতী দক্ষিণ ডিভিশনজুড়েই ঝাড়খণ্ড সীমানা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের চাণ্ডিল ও দলমার যেসব এলাকায় বাঘের উপস্থিতির খবর পাওয়া যাচ্ছে, তার কাছাকাছি সমস্ত এলাকার রেঞ্জারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বলরামপুর, বরাবাজার, মাঠা রেঞ্জের মতো এলাকায় সতর্ক বনকর্মীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #tiger, #Odisha

আরো দেখুন