কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অধ্যাপকদের ক্যাম্পাসে থাকার ন্যূনতম সময় বেঁধে দিচ্ছে UGC?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অধ্যাপকদের ক্যাম্পাসে থাকার সময় বেঁধে দিতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। তাঁদের ন্যূনতম ৮ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে থাকতেই হবে। খসড়া নীতি প্রকাশ করেছে ইউজিসি। খসড়ায় সাফ বলা হয়েছে, একজন অধ্যাপক আট ঘণ্টার আগে তাঁর কর্মক্ষেত্র ছাড়তে পারবেন না।
পাশাপাশি ক্যাজুয়াল লিভ ১৪ দিন থেকে কমিয়ে আট দিন করা হচ্ছে। ইউজিসির মতে, ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে ধাপে ধাপে। পারদর্শিতা বৃদ্ধি ও আউটকাম ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হচ্ছে। কোনও একটি কোর্স করে পড়ুয়ারা কতটা, কী শিখতে পারছে, তার ভিত্তিতে আউটকামের সূচক নির্ধারিত হয়। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের আরও বেশি সময় দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লম্বা ছুটি দু’সপ্তাহ পর্যন্ত কমানোর পরামর্শও দিয়েছে ইউজিসি। এই সময়ের মধ্যে ক্লাস নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মোট দিনের এক-তৃতীয়াংশ আর্নড লিভ হিসেবে পাবেন। কলেজের ক্ষেত্রে অবশ্য এই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না।
প্রত্যেক সেমেস্টারে অন্তত ১৫ সপ্তাহ ক্লাস করতেই হবে। বাকি সময়টা বরাদ্দ থাকবে পরীক্ষা, পড়ুয়াদের নিয়ে সামাজিক কাজ, এনসিসি, দক্ষতাবৃদ্ধি সংক্রান্ত নানা ক্রিয়াকলাপ, গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজের জন্য। যা নিয়ে শিক্ষকদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে। অধ্যাপকদের মধ্যে অনেকেরই বক্তব্য, ইউজিসি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। অধ্যাপকরা কতক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবেন, তা ইউজিসি ঠিক করে দিতে পারে না। এতে প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ। অনেকেই বলছেন, বাস্তবে আট ঘন্টার এর চেয়ে বেশি সময় অধ্যাপকরা বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক কাজে ক্যাম্পাসে থাকেন। তাই, আট ঘণ্টার সময়সীমা চাপিয়ে দেওয়ার নীতিটি অপমানজনক। ১৫ সপ্তাহ পঠন-পাঠন নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সেমেস্টারে কোর্সভেদে ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহ ক্লাস হয়। শিক্ষকদের প্রশ্ন, ইউজিসি যেখানে পঠন-পাঠনের সময় বাড়াতে চাইছে, সেখানে ন্যূনতম সময় ১৫ সপ্তাহে বেঁধে দেওয়া হাস্যকর।