‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (ONOE) বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) প্রথম বৈঠকে সরব বিরোধীরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (ওএনওই) বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) প্রথম বৈঠক বিরোধী সাংসদ এবং বিজেপি সাংসদদের বাদানুবাদে উত্তাল হল। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৯ সদস্যের জেপিসির বৈঠকে অংশ নেওয়া সাংসদরা বিলের বিধান এবং তাদের পরিচালনার যৌক্তিকতা সম্পর্কে আইন ও বিচার মন্ত্রকের উপস্থাপনার পরে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন।
বৈঠকে কংগ্রেস, ডিএমকে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা অভিযোগ করেন যে প্রস্তাবিত আইনগুলি ‘সংবিধানের পরিপন্থী এবং এর মৌলিক কাঠামোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রীয়তার উপরও আক্রমণ’। তৃণমূলের এক সাংসদের কথায়, ‘টাকা বাঁচানোর থেকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করা বেশি জরুরি।’
সূত্রের খবর, বুধবার ৩৯ সদস্যের ওই যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ বিরোধী সাংসদরা একযোগে এক দেশ-এক নির্বাচনের বিরোধিতা করেন। প্রিয়াঙ্কাদের দাবি মূলত দুটো। এক, এক দেশ-এক নির্বাচন সাংবিধানিক কাঠামোর বিরোধী। এভাবে সময়ের আগে নির্বাচিত রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়া যায় না। দুই, একসঙ্গে নির্বাচনের খরচ। বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্র যে দাবি করছে একসঙ্গে নির্বাচন হলে খরচ কমবে, সেটা সত্যি নয়। বরং একসঙ্গে ভোট হলে অনেক বেশি পরিমাণ ইভিএম প্রয়োজন হবে। সেটা আরও বেশি খরচসাপেক্ষ। বিরোধীরা বলছে, ২০০৪ সালে প্রথম গোটা দেশে একসঙ্গে ইভিএমে ভোট হয়, সেসময়ের হিসাবে খরচ হিসাব করা উচিত সরকারের।