মোদীর প্রতিশ্রুতির উল্টোপথে হাটছে ভারত, দেশে বিমা গ্রাহকের সংখ্যা কমছে উল্লেখযোগ্যভাবে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডেডলাইন দিয়েছেন ২০৪৭ সাল। বিমার আওতায় সব ভারতীয়। কারণ, ওটাই ভারতের স্বাধীনতার শতবর্ষ। কিন্তু দেশের বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা আইআরডিএআই সাফ জানাচ্ছে, উল্টো পথে হাঁটছে ভারত। সার্বিকভাবে দেশে বিমা গ্রাহকের সংখ্যা কমছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সবচেয়ে করুণ দশা স্বাস্থ্যবিমা ও অন্যান্য সাধারণ বিমার। জীবন ও সাধারণ বিমা মিলিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এদেশে প্রতি ১ হাজারে বিমা কিনেছেন মাত্র ৩৭ জন! অর্থাৎ শতকরা হিসেবে ৯৬ শতাংশ ভারতবাসীর কোনও বিমাই নেই।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেনা বিমাকে সমীক্ষার আতশকাচের তলায় রাখতেই প্রকাশ্যে এসেছে এই গুরুতর পরিসংখ্যান। বিশ্বের গড় হিসেব অনুযায়ী কিন্তু প্রতি হাজারে ৭০ জন বিমা কিনে থাকেন। সেই নিরিখে ভারতের গড় প্রায় অর্ধেক। এর কারণ বেশ কিছু। প্রথমত, কম খরচে ইনস্যুরেন্স করানোর সুবিধা এদেশে নেই। অনলাইনে বিমা কেনা বা পলিসির শর্ত লাঘবের মতো কিছু পদক্ষেপ কেন্দ্র করেছে ঠিকই, কিন্তু তা সব স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছোয়নি। উপরন্তু ১৮ শতাংশ জিএসটির বোঝা। বিমা সংস্থাগুলিও এ ব্যাপারে বারবার অনুরোধ করছে। তারপরও টালবাহানা জারি রেখেছে মোদী সরকার। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠছে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি। মানুষের হাতে সংসার চালানোর মতো টাকা থাকছে না। তার উপর চড়া প্রিমিয়াম। বিমার পথ থেকে সরে আসা ছাড়া গতি থাকছে না মানুষের। একটি বেসরকারি বিমা সংস্থার সমীক্ষা বলছে, দেশে চিকিৎসা খরচ বছরে ১৪ শতাংশ হারে বাড়ছে।