প্লাস্টিক বর্জিত ‘গ্রীন গঙ্গাসাগর মেলা’র লক্ষ্যে কী কী পদক্ষেপ প্রশাসনের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষ্যে সাজ সাজ রব। নির্বিঘ্নে গঙ্গাসাগর মেলা সম্পন্ন করতে তৎপর প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী একাধিক মন্ত্রীকে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন। মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী পুণ্যস্নানে অংশ নেবেন। প্লাস্টিক বর্জিত গ্রীন গঙ্গাসাগর মেলাই লক্ষ্য। আজ, বৃহস্পতিবার বাবুঘাট পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাবুঘাট পরিদর্শনের বিভিন্ন পরিকাঠামো খতিয়ে দেখবেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধুসন্তরা বাবুঘাটে মিনি গঙ্গাসাগরে এসে হাজির হয়েছেন। তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। গড়ে তোলা হয়েছে ক্যাম্প। জলসহ সমস্ত পরিকাঠামো সেখানে তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন বিভাগের ক্যাম্প প্রস্তুত। সেখান থেকেই সাধুরা গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এবারের লক্ষ্য প্লাস্টিক বর্জিত গ্রীন গঙ্গাসাগর মেলা।
গঙ্গাসাগর মেলা আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আগামী বুধবার সকাল ৬ টা ৫৮ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৬ টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা। কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে মত প্রশাসনের। মেলা উপলক্ষ্যে মুড়িগঙ্গায় ড্রেজিং করা হয়েছে। ২০ ঘন্টা পর্যন্ত ভেসেল পরিষেবা চালু থাকবে। ২,২৫০ টি বাসের ব্যবস্থা করেছে পরিবহন দপ্তর। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। সাগর, নামখানা, রুদ্রনগর-সহ পাঁচটি টেম্পোরারি হাসপাতাল করা হয়েছে। ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স, মেডিক্যাল ইমারজেন্সির জন্য থাকছে কপ্টার অ্যাম্বুলেন্স। কোন দুর্ঘটনা হলে ৫ লক্ষ টাকার বীমা দেবে সরকার। মেলার শুরু থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত, পুণ্যার্থী থেকে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা এই বীমার আওতায় থাকবেন। গঙ্গাসাগরে থাকছে তিনটি স্থায়ী হেলিপ্যাড। মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বিঘ্নে গঙ্গাসাগর মেলা সম্পন্ন করতে জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মেলার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক মন্ত্রীকে। জলপথে নজরদারি ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, নৌ বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী, আইবি, এসবি সকলে মিলে নজরদারির দায়িত্বে আছে। পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ১২ হাজারের বেশি পুলিশ মোয়াতেন থাকছে। ইসরোর সাহায্য নিয়ে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুরু হয়েছে ড্রোন মারফত নজরদারি।
পুণ্যার্থীদের অসুবিধে যাতে না-হয়, সমস্ত ধরনের সুবিধা যাতে পূর্ণ্যার্থীরা পান তার জন্য সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নবান্ন থেকে করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের জন্য এবার ছবি-সহ পরিচয় পত্র করা হয়েছে। পানীয় জলের জন্য পর্যাপ্ত জলের পাউচ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলা সহ বিভিন্ন ভাষাতে ঘোষণা করা হচ্ছে, যাতে সাগরে আগত পুণ্যার্থীদের অসুবিধে না হয়।