কী কী ব্যায়াম করলে উন্নত হবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লেগেই রয়েছে রোগবালাই। শরীরে রোগজীবাণু প্রবেশ করলে দেহের প্রতিরোধী ব্যবস্থা সেই রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই শুরু করে। রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে চিকিত্সা শাস্ত্র মতে বলে ইমিউনিটি। ব্যায়াম করলে নানা ধরনের রোগব্যাধি দূরে রাখতে পারব।
কী কী আসন করলে অনাক্রম্যতা বাড়ে?
শিবানন্দ ভ্রমণ প্রাণায়াম:
শ্বাস নিতে নিতে হাঁটতে হবে ও শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা ফেলতে হবে। প্রতিদিন ১০ মিনিট হাঁটাই যথেষ্ট।
বিশ্বশ্রী মনোতোষ রায় ব্রিদিং এক্সারসাইজ:
দুই পায়ের মাঝে ৮-১০ ইঞ্চি ফাঁক রেখে দাঁড়ান। এবার এক হাতের তালু দিয়ে আর এক হাত ধরে নিন। এবার শ্বাস নিতে নিতে দুটো কাঁধকে পিছন দিকে নিয়ে চলে যান এবং তার সঙ্গে সঙ্গে মাথাটাকেও পিছন দিকে হেলিয়ে দিতে হবে। এই বিষয়টিকে বলে স্ক্যাপুলাল রিট্র্যাকশন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে মাথাটাকেও সামনে নিয়ে এসে থুতনিটাকে বুকে লাগিয়ে দিন আর কাঁধটাকেও সামনে নিয়ে এসে বুকের পেশিটাকে চেপে ধরুন। এর ফলে পেকটোরিয়ালস মেজর, পেকটোরিয়ালস মাইনর পেশি দু’টির উপর চাপ পড়বে। আবার শ্বাস নিতে নিতে কাঁধ মাথা পিছনে নিয়ে যেতে হবে ও আবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এভাবে ১০ থেকে ১৫ বার করলেই মিলবে উপকার।
অনুলোম বিলোম প্রাণায়াম:
পদ্মাসনে বসতে পারলে ভালো না হলে হাতল ছাড়া চেয়ারে শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। এবার ডান হাতের অনামিকা দিয়ে বাম নাক চেপে ধরুন। ডান নাক খোলা রাখুন। খোলা পথ দিয়ে লম্বা শ্বাস নিন। এবার ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ডান নাক চেপে ধরুন। ও বাম নাক থেকে অনামিকার চাপ সরান। বাম নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এবার বামদিকের নাকের রন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নিয়ে বাম নাক বন্ধ করুন। ডান নাকের উপর থেকে চাপ সরিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। পাঁচ থেকে সাত মিনিট করুন এই শ্বাসের ব্যায়াম।
কপালভাতি:
বজ্রাসনে বা চেয়ারে বসে সামনের দিকে একটু হেঁট হয়ে গিয়ে ফুঁ দিন। ফুঁ দেওয়ার সময় তলপেট ও রেকটাম যতটা সম্ভব ভিতরে টানুন। আবার শ্বাস নিয়ে পেট স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরান। এইরকম ভাবে প্রথমে ১৫-২০ বার করুন। অভ্যেস হয়ে গেলে মিনিট দেড়েক দু’য়েক করুন।