হাতির হানা রুখতে AI, জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতে কী কী উদ্যোগ রাজ্যের?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রায়ই হানা দেয় হাতি, হাতির তাণ্ডবেও ঘুম উড়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া-সহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার। বাংলায় হাতির সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাতির তাণ্ডব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতির তাণ্ডব থেকে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতে নয়া পরিকল্পনা সাজাল নবান্ন।
জনবসতি এলাকায় হাতির হানা রুখতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে রাজ্য। শুধু এআই ক্যামেরা বসানো নয়, সঙ্গে থাকছে রেডিও কলার, উত্তরবঙ্গের সাতটি জায়গায় প্রায় আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ তৈরি-সহ একাধিক পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। হাতির হানা রুখতে আট দফা পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে নবান্ন। বনদপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ আগরওয়ালও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি ফালাকাটায় দু’টি হাতির তাণ্ডবলীলা সমাজ মাধ্যমের দৌলতে দেখেছেন মানুষ। পুলিশ, বনদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে এমন ধরনের ঘটনা ঠেকাতে হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন। রাজ্যের নির্দেশ, এমন ঘটনায় জেলাশাসকদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। যে কোনও বিপর্যয় পরিস্থিতি মোকাবিলার মতোই, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাতির হানা হলে জেলাশাসককে ‘ইনসিডেন্ট কমান্ডার’ হিসেবে কাজ করতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁদের উপর থাকবে বিশেষ দায়িত্ব। যে যে এলাকায় হাতির তাণ্ডব বেশি হয়, সেখানে আবগারি দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে তাড়ি ও স্থানীয়ভাবে তৈরি মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের সাত জায়গায় ৩০০ থেকে ৪০০ মিটার চওড়া ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ তৈরি করবে রাজ্য। এক একটির জন্য ব্যয় হবে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা। করিডরের দু’দিক কাঁটা-জাল দিয়ে ঘেরা থাকবে। করিডোরের মধ্যে লাগানো হবে হাতিদের পছন্দের ঘাস। পুকুর কাটা হবে, যাতে তেষ্টা মেটাতে পারে হাতিরা। ৫০ মিটার দূর থেকে হাতির উপর নজরদারি চালাতে বনের টাওয়ারগুলিতে এআই ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ঝাড়গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে এআই ক্যামেরা বসানোও হয়েছে। সব মিলিয়ে হাতির হানা ঠেকাতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন।