গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করছে না কেন্দ্র, সরব পুরীর শঙ্করাচার্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তরপ্রদেশের কুম্ভ মেলা নিয়ে যত হইচই নরেন্দ্র মোদী সরকারের, তার ছিঁটেফোটাও দেখা যায় না পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে। অথচ কুম্ভ মেলার মতো গঙ্গাসাগর মেলারও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বহু বিদেশি পর্যটক সাগরে ভিড় করেন মেলা চলাকালীন। তার পরেও কেন কেন্দ্র গঙ্গাসাগর নিয়ে উদাসীন? এ বিষয়ে অতীতে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
এবার মুখ খুললেন পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী মহারাজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনায় সরব তিনি। গঙ্গাসাগরে ভাঙন এবং মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু নির্মাণ বিষয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নরম মনোভাব দেখানো উচিত। সেই কথাও জোরালো ভাবে বলেছেন তিনি।
গঙ্গাসাগর মেলা চলছে মহা সমারোহে। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী সেখানে হাজির হচ্ছেন। গঙ্গাসাগরে এই মুহূর্তে আছেন শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী মহারাজ। সোমবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপর নরম মনোভাব দেখানো উচিত। কারণ, বাংলা তো বটেই, সাগরমেলায় দেখা মেলে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, গুজরাট থেকে আসা বহু মানুষের।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার ঘোষণা করুক বা নাই করুক। আমি ঘোষণা করছি গঙ্গাসাগর মেলা জাতীয় মেলা। জাতীয় মেলা বলে আমি প্রতিবার আসি।” তিনি আরও জোরালো ভাবে দাবি করেন, “বিজেপির গোপন এজেন্ডা হল আগে পশ্চিমবঙ্গ দখল করবে। তারপর গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করবে। কিন্তু গঙ্গাসাগর হিন্দুদের পবিত্র স্থান। হাজার হাজার বছর ধরে এটি পূজিত হয়ে আসছে। রাজনৈতিক ফায়দা তুললে এত বড় স্থানের মাহাত্ম্য সমুদ্রে বিসর্জিত হয়ে যাবে।”