টাকার মূল্যের বিপদজনক পতনের জের! মার্চ থেকে কোন কোন জিনিসের দাম বাড়তে পারে?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: টাকার দামের পতন চলছেই। অন্যদিকে, আমদানির হার কমে অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বেসামাল হয়ে পড়েছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মূল্যবৃদ্ধি আরও চাপে দেশ। ডলারের বিনিময়ে টাকার মূল্যের বিপদজনক পতনের জেরে এবার নিত্য প্রয়োজনীয় ও বহু ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়তে চলেছে। যে পণ্যগুলির দাম বাড়তে চলেছে সেগুলি মধ্যবিত্তরাও ব্যবহার করে।
এয়ার কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম বাড়তে পারে। বণিকসভাগুলি এবং ট্রেডার্স ও মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আশঙ্কা, উল্লেখিত এই পণ্যগুলির দাম কয়েক মাসের মধ্যেই অন্তত ৫ থেকে ১০ শতাংশ বেড়ে যাবে। কারণ এই পণ্যগুলির যন্ত্রাংশ তথা উপকরণের প্রায় ৩৫ থেকে ৫৫ শতাংশই ভিয়েতনাম, চীন এবং থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়। পণ্যগুলির যে অংশটি প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে, সেগুলির দাম অন্তত ৮ থেকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তুলনায় কম দামের পণ্যগুলির দাম ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্য পরিভাষায় যাদের নাম এন্ট্রি লেভেল। যে সব মোবাইলের দাম ১০ হাজার টাকার কম, তাদের দাম বাড়বে।
একাধিক বাণিজ্য ও উৎপাদন সংগঠনের রিপোর্ট পেয়ে বণিকসভাগুলি মনে করছে মার্চ মাস থেকেই দাম বাড়তে চলছে। ডালারের সঙ্গে টাকার ফারাক ক্রমেই বিপদজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পতন আকাশ ছুঁয়েছে। ৮৭ টাকা স্পর্শ করতে চলেছে ভারতীয় মুদ্রা। বাজেটে সরকার পণ্যের শুল্ক কাঠামো নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, উৎপাদন ক্ষেত্র সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে। যদি সরকার এইসব পণ্যের যন্ত্রাংশ ও উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে সুরাহা দেয়, তবে দাম হয়ত খুব বেশি বাড়বে না। অন্যথায় দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় থাকবে না।